এমপি লিটনের খুনীরা ধরা পড়েনি জামায়াতের কারণে-
সাইফুল বারী মাসুম : হত্যাকান্ডের তিন দিন পরও এমপি লিটনের খুনীরা ধরা পড়েনি। পুলিশ ও গোয়েন্দারা এখনও হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনে কোন কিনারা পাননি। তবে তদন্তকারীরা বলছেন, জামায়াতের শক্ত ঘাঁটি গড়ে উঠছিল সুন্দরগঞ্জ। এই চক্রটির সঙ্গে জড়িত ছিল লিটনের কতিপয় ঘনিষ্ঠ সহযোগী। জামায়াতের এই ঘাটি বাস্তবায়নের পথে কাটা হয়েছিলেন এমপি লিটন। আর জঙ্গিরা ছিল তার প্রধান শত্রু।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকান্ডে নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লিটনের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, হত্যাকান্ডের কয়েকদিন আগে লিটনের বাড়ির নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সার্বক্ষণিক থাকতো।’ তারপরও কীভাবে লিটন খুন হন? এ হত্যাকান্ডের পরে লিটনের পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানানো হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র মতে, লিটনকে হত্যার আগে ওই এলাকা রেকি করে তথ্য সংগ্রহ করে মূল খুনিচক্রকে সরবরাহ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের ভাষ্যমতে, লিটনের ঘনিষ্ঠজনরাও এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতভাবে থাকতে পারে। লিটনের উপর হামলা করার আগ মুহূর্তে তার বাড়ির সামনের মাঠে একদল শিশু খেলছিল। হামলাকারীরা তখন তাদের বাড়ি চলে যেতে বলেছিল। কিন্তু শিশুরা সন্ধ্যা নাগাদ থাকে। সন্ধ্যার দিকে শিশুরা বাড়ি চলে গেলে নির্জনতার সুযোগ নিয়ে হামলাকারীরা তার বাড়িতে প্রবেশ করে লিটনকে উপর্যুপরি গুলি করে।
লিটনের ঘনিষ্টজনদের কেউ খুনিদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে।লিটনের বড় বোন আফরোজা বারী বলেন, ‘আমাদের ভাইয়ের নামে শিশু হত্যা চেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ এনে তার লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করায় সন্ত্রাসীরা তাকে এভাবে হত্যা করতে পেরেছে। হত্যাকারী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।’