এমপি গাজীর কার্যালয়ে গুলি করে নেতা হতে চেয়েছিল আসিক
স্টাফ রিপোর্টার : এমপি গাজীর কার্যালয়ে গুলি করে নেতা হতে চেয়েছিল আসিক। কিন্তু র্যাব-৩-এর জালে আটকে সে সীমান্ত এলাকা থেকে পাকরাও হয়েছে। রাজধানীর পল্টনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীরের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে গুলির ঘটনায় জড়িত মাসুদ রানা ওরফে আসিককে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার ভোরে কুমিল্লার গোলিয়ার ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে র্যাব-৩-এর একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।গত সোমবার সন্ধ্যায় এমপির কার্যালয়ে ওই গুলিতে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া আহত হন।
গ্রেফতারের পর আসিক জানিয়েছে, রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার, ক্ষমতা দ্বন্দ্ব ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে সে মোশাররফকে গুলি করেছে। এ জন্য সে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মাদক ব্যবসায়ী রাইফেল আলমগীরের কাছ থেকে দুটি পিস্তল ও গুলি সংগ্রহ করে। র্যাব কর্মকর্তারা জানান, এমপির কার্যালয়ে গুলি করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল আসিক।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আসিককে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন র্যাব কর্মকর্তারা। সেখানে র্যাব-৩ অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, ‘দুই বছর আগে ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পিস্তল, রামদাসহ র্যা ব-১১ মাসুদ রানা ওরফে আসিককে গ্রেফতার করেছিল। কারাগারে থাকার সময় হত্যার মামলার আসামি বাদশার মাধ্যমে রাইফেল আলমগীরের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়।
তবে গত সোমবারের ঘটনার আগে ভুলতার কায়েতপাড়া এলাকায় ভূমিদস্যু বিরোধীর একটি সভার যাওয়ার সময় যানবাহনকে সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে মোশাররফ ও আসিকের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ওই সময় আসিকের সঙ্গে রাইফেল আলমগীর, আল আমিনসহ আরও কয়েকজন ছিল।’
র্যাব কর্মকর্তা তুহিন বলেন, ‘আগের ঘটনার জের ধরে গত সোমবার সকালে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে আরও এক দফা বিরোধ হয়। তখন মোশাররফকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় আসিক। হুমকি দিয়ে রাইফেল আলমগীরের কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি নিয়ে হামলার জন্য মোশাররফকে খুঁজতে থাকে সে। মোশাররফ পল্টনে এমপি গাজী গোলাম দস্তগীরের কার্যালয়ে আছেন জানতে পেরে সেখানে যায় আসিক। সেখানে এমপির এপিএস কামরুজ্জামানের কক্ষে থাকা মোশররফকে গুলি করে পালিয়ে যায় আসিক।’
র্যাব কর্মকর্তারা বলেন, একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী মাসুদ রানা ওরফে আসিক। তবে রূপগঞ্জের তিনশ’ ফুট সড়কসহ এলাকার আধিপত্য নিয়ে মোশাররফের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। এমপির কার্যালয়ে গুলির ঘটনার অস্ত্র সরবরাহকারী সন্ত্রাসী রাইফেল আলমগীরসহ জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।