• রোববার , ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এমপির মাংসপিন্ড সঞ্জীবা গার্ডেনের স্যুয়ারেজে মিলেছে


প্রকাশিত: ৭:৫২ পিএম, ২৮ মে ২৪ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১৫ বার

কলকাতা প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের দেহাবশেষের সন্ধানে কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের ফ্ল্যাটের স্যুয়ারেজ লাইনে তল্লাসী করে মাংসপিন্ড মিলেছে। সঞ্জীবা গার্ডেন্সের সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতর থেকে এ খণ্ডিত মাংসপিন্ড উদ্ধার করা হয়েছে বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ মে) সন্ধ্যার আগে এ তথ্য পাওয়া যায়।

ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার হওয়ার মাংসপিণ্ডটি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহের হতে পারে। ঘটনাস্থলে আছেন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ এবং পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি কর্মকর্তারা। তবে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানাননি তারা।
এ বিষয়ে জানতে সঞ্জীবা গার্ডেন্সের সামনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।এর আগে ওই ভবনের বাগানে কাজ করা এক ব্যক্তি সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতর থেকে খণ্ডিত মাংস উদ্ধারের কথা তাদের জানান।

পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি জানায়, ফরেনসিক পরীক্ষার পর এগুলো আনারের মরদেহের অংশ কিনা সে বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।মাংসের অংশগুলো কসাই জিহাদ ওয়াশরুমের কমোডে ফেলে দিয়েছিল বলে আগেই স্বীকার করেছিল।প্রত্যক্ষদর্শী ও আবাসনের সুয়ারেজ সিস্টেমের কর্মী সিদ্ধেশ্বর মন্ডল সংবাদমাধ্যমকে জানান, এখন পর্যন্ত ওই সেফটিক ট্যাংক থেকে প্রায় ৪ কেজি ওজনের মাংস উদ্ধার করেছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। মাংসের টুকরোগুলো অনেকটা পাকোড়ার মতো দেখতে।

মঙ্গলবার দুপুর থেকে কলকাতার ভাঙ্গরের কৃষ্ণমাটি এলাকার বাগজোলা খালে তল্লাশি চালায় সিআইডি। এসময় সঙ্গে ছিলো বাংলাদেশের ডিবির প্রতিনিধি দলও। পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি ও রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় এ কাজ চলছে বলে জানায় ডিবি।

এছাড়া মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার নিউটাউনের ওয়েস্টিন হোটেল থেকে কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজারে যান হারুন। সেখানে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত কোয়েলের সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাতের পাশাপাশি এমপি হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানায় ডিবি।

এসময় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর রশিদ বলেন, ‘বাসার ভেতরে যে তিনটা কমোড আছে সেটার ফ্লাশ করার পরে যে স্যুয়ারেজ লাইনটা, সে লাইনটা ভাঙার জন্য আমরা তাদেরকে বলেছি। তাঁতীশালা যে ব্রিজটা আছে তার আশেপাশে তল্লাশি করার কথা আমরা বলেছি। চেষ্টা চলছে।’

গত রোববার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল কলকাতায় যায়। ওই প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন-আব্দুল আহাদ ও সাহেদুর রহমান।

গত ১২ মে কলকাতায় চিকিৎসা করানোর জন্য যান ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজীম। ১৩ তারিখ নিউটাউনের ফ্ল্যাটে খুন হন সাংসদ। দুদিন নিখোঁজ থাকার পর তাঁর হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভারতের পুলিশ জানতে পারে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশে তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্যদিকে, বনগাঁ থেকে গ্রেপ্তার হয় জিহাদ ও সিয়াম।