এবি ব্যাংকের ৩২৬ কোটি টাকা লুটপাট-জড়িত এমডি-ডিএমডি,২ জালিয়াত পাকরাও
এস রহমান : এবি ব্যাংকের ৩২৬ কোটি টাকা লুটপাটে জড়িত সাবেক এমডি-ডিএমডিকে খুঁজছে দুদক। এদের মধ্যে দুই জালিয়াতকে আজ পাকরাও করেছে দুদক কর্মকর্তারা।দুদক জানায়, এবি ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম ফজলুর রহমান এবং এবি ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের হিসাব ও অডিট বিভাগের বর্তমান জিএম বদরুল হক পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংকের ৩২৬ কোটি টাকা লুটপাট করেছেন।
সূত্র জানায়, এবি ব্যাংকের এই জালিয়াতির মূল নায়ক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। তার সার্বিক ইশরায় লুটপাট চূড়ান্ত হয়েছে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে এবার মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপকসহ (জিএম) দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি।
দুদকের জনসংযোগ বিভাগ এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জাতিরকন্ঠকে জানায়, শনিবার রাতে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলাটি হয়। মামলার বাদী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১–এর উপসহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস।
দুদক সূত্র জানায়, মামলায় ছয় আসামির বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া ঋণপত্রের (এলসি) মাধ্যমে এবি ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা থেকে প্রায় ৩২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসলাম চৌধুরী ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন তাঁর স্ত্রী রাইজিং স্টিল মিল লিমিটেডের চেয়ারম্যান জামিলা নাজনীন মাওলা, ছোট ভাই ও একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমজাদ হোসেন চৌধুরী, পরিচালক জসীম উদ্দিন চৌধুরী, এবি ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম ফজলুর রহমান এবং এবি ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের হিসাব ও অডিট বিভাগের বর্তমান জিএম বদরুল হক খান।
আসামিদের মধ্যে আসলাম চৌধুরী অন্য মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। আজ রোববার গ্রেপ্তার হয়েছেন বদরুল হক খান ও জসীম উদ্দিন চৌধুরী। দুদকের পরিচালক এ কে এম জায়েদ হোসেন খানের নেতৃত্বে সংস্থার দুটি দল ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
দুদক সূত্র জানায়, মামলার এজাহার অনুসারে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এবি ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে তিনটি ঋণপত্রের বিপরীতে ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।