• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

এবার স্ত্রী বন্ধক নিয়ে তোলপাড় সৈয়দপুর


প্রকাশিত: ৮:৩২ পিএম, ২৫ জুন ১৬ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২২ বার

 

স্টাফ রিপোর্টার : এবার স্ত্রীকে বন্ধক নিয়ে তোলপাড়।ঘটনাটি ঘটেছে নিলফামারী জেলার সৈয়দপুর 1থানা এলাকায়।প্রথম স্ত্রীর ভয়ে নববধূকে বন্ধক রেখে ছিল এক যুবক। কিন্তু শেষমেষ ওই বধু এখন বন্ধক ওয়ালার পক্ষে কথা বলছে।

জানা গেছে, প্রথম স্ত্রীর অগোচরে বিয়ে করেছেন। সংসারও শুরু করেন। দুই মাস পর প্রথম স্ত্রী বাড়ি আসবে জেনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। উপায় হিসেবে বের করেন, নববধূকে কারও কাছে কিছু সময়ের জন্য রেখে দেওয়া। তা-ও টাকার বিনিময়ে। আর এতেই বেধেছে বিপত্তি। বেঁকে বসেছেন স্ত্রী। স্বামীর কাছে ফিরবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

শুধু তা-ই নয় বন্ধক গ্রহীতাকে বিয়ে করবেন বলেও জানিয়েছেন। ওদিকে বিপত্নীক বন্ধক গ্রহীতাও এ বিয়েতে রাজি। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব বেধেছে স্বামী ও বন্ধক গ্রহীতার মধ্যে।ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায়। নববিবাহিত স্ত্রীকে বন্ধক রেখে বিপাকে পড়েছেন রিকশাভ্যানের চালক লিটন আলী।

লিটন আলী জানান, দুই মাস আগে প্রেম করে বিয়ে করেন এক তরুণীকে (১৯)। লিটন এর আগে চট্টগ্রামে রিকশাভ্যান চালাতেন। তাঁর স্ত্রী-সন্তান সেখানেই বসবাস করছেন। প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে তিনি বিয়ে করেন এই তরুণীকে।লিটন জানান, প্রথম স্ত্রী চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসছেন, এ খবরে দিশেহারা হয়ে পড়েন। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না।

পরে নতুন শ্বশুরবাড়ির এলাকার বাসিন্দা বিপত্নীক কাঠমিস্ত্রি ওলেমান মিয়ার (৩২) কাছে তিনি নববধূকে মাত্র ৫০০ টাকায় বন্ধক রাখেন। কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে আগের স্ত্রী না আসায় তিন দিনের মাথায় গতকাল শুক্রবার রাতে নতুন স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে যান তিনি।

লিটন জানান, বউ তো ফিরে এলই না, বরং তাঁকে নানা রকম হুমকি ধমকি দেওয়া হয়েছে। অনেক অনুরোধ করলে বউ সাফ জানিয়ে দেন, যে ব্যক্তি স্ত্রীকে বন্ধক রাখে, সে কেমন স্বামী? তাই তিনি বন্ধক গ্রহীতার সঙ্গেই থাকতে চান। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে।

ওই তরুণীও বলেন, ‘আমি কোনোভাবেই লিটনের কাছে ফিরে যাব না।’বন্ধক গ্রহীতা ওলেমান বলেন, ‘আমি ওই তরুণীকে বিয়ে করব। ওকে ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’

এলাকার নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, ‘লিটনের অপরাধ অমার্জনীয়। আর ওই তরুণীও যা করেছেন, তা ঠিক হয়নি। বিয়ে না করে তিনি কীভাবে অন্যের বাড়িতে আছেন, তা আমার বোধগম্য নয়।’

কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না। ঘটনাটি শুনে আমি বিস্মিত হয়েছি।’
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ নিয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখব।’