• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

এবার মোদির এজেন্ডায় উলফা নেতা-মাতৃভূমিতে ফিরতে স্বাধীনতাকামী অনুপ চেটিয়ার আর্তনাদ


প্রকাশিত: ৩:৩৯ পিএম, ২ জুন ১৫ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৮ বার

anup chatia-www.jatirkhantha.com.bdএস রহমান.ঢাকা:  এবার মোদির এজেন্ডায় উলফা নেতা-মাতৃভূমিতে ফিরতে স্বাধীনতাকামী অনুপ চেটিয়ার আর্তনাদ ।২০১০ সাল থেকে দিল্লিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উলফার শান্তি আলোচনা চলছে। অনুপ চেটিয়া এখন নিজ দেশে ফিরে যেতে চান। এ আগ্রহের কথা জানিয়ে ২০১৩ সালে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে তিনি ইতিপূর্বে বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য করা আবেদন প্রত্যাহারের কথাও বলেন।অনুপ চেটিয়া রাজশাহী কারাগারে থাকা তার দুই সহচর লক্ষ্মীপ্রসাদ গোস্বামী ও বাবুল শর্মাকে নিয়ে তিনি নিজ দেশে ফিরতে চান বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন।
বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরে ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা) নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে ফেরত দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে। রবিবার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। রবিবার আসাম ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্দী বিনিময় চুক্তি রয়েছে।
১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে অনুপ চেটিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  এরপর তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান এবং অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা ও একটি স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। পরে তিনটি মামলায় তাকে যথাক্রমে তিন, চার ও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বাংলাদেশের আদালত।
২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর সাজার মেয়াদ শেষ হয়। অতীতে বিভিন্ন সময়ে অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করার জন্য ওই দেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ২০০৩ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেন অনুপ চেটিয়া।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের স্বাধীনতার লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালে গঠিত হয় উলফা। এরপর দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সশস্ত্র তত্পরতা চালায় সংগঠনটি। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০০৯ সালের শেষ দিকে উলফার চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়াসহ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব নেতাকে বাংলাদেশ থেকে ধরে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাংলাদেশ সফরে অনুপ চেটিয়া আমাদের এজেন্ডায় আছে। জানা গেছে, ভারত আশা করছে, স্থলসীমান্ত চুক্তি পাস হওয়ার কারণে বাংলাদেশ আন্তরিকতার সঙ্গে অনুপ চেটিয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে এবং তাকে ফেরত দেবে। এই সংবাদ সম্মেলনে সুষমা মোদীর সফরে তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না বলেও জানান।