• মঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

এবার প্লেনের মত ২০ মিনিটে গাজীপুর থেকে ঢাকা যাতাযাত


প্রকাশিত: ৯:০৯ পিএম, ৭ মার্চ ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৬ বার

এস রহমান  :   এবার প্লেনের মত ২০ মিনিটে গাজীপুর থেকে ঢাকা দ্রুত সময়ে rapid bus-www.jatirkhantha.com.bdযাতায়াতের জন্য পৃথক দুটি লেনে বাস রেপিড ট্রানজিট (বিআরটি) নামে আলাদা বাস যাওয়া আসা করবে। এতে গাজীপুর থেকে ঢাকার বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ মিনিটে যাওয়া আসা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে বাস রেপিড ট্রানজিট (বিআরটি) আইন, ২০১৬ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন মন্ত্রিসভা।

আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এ আইনে এ সংক্রান্ত অপরাধের জন্য বিভিন্ন ধরনের জেল জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।  মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, এ আইনে ৫৩ ধারা ও ১০টি অধ্যায় রয়েছে। এ আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনারও এখতিয়ার রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, অপরাধের মধ্যে লাইসেন্স ব্যতীত বিআরটি নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকার জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

অনুমোদন ছাড়া লাইসেন্স হস্তান্তর করলেও একই ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া অননুমোদিতভাবে পাস বা টিকিট বিক্রির জন্য একই ধরনের শাস্তি রাখা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা এ অপরাধ করলে শাস্তি অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড হবে। জরিমানা হবে পাঁচ লাখ টাকা।

মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, এ আইনে দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ভাড়া নির্ধারণের জন্য সাত সদস্যের কমিটি থাকবে। তাঁরা যাচাই বাছাই করে ভাড়া নির্ধারণ করবেন।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ ব্যবস্থায় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স নিয়ে এ দুই লেনে বিআরটি নামের বাস চলাচল করবে।

মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেজ (রিমিউনেরেশন এন্ড প্রিভিলেজ) আইনের খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা সার্কুলারের মাধ্যমে উৎসব ভাতা পেতেন। এ ছাড়া বৈশাখী ভাতাও সার্কুলারের মাধ্যমে দিতে হতো। এখন আইনের মাধ্যমে এ দুটো বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এ ছাড়া মন্ত্রিসভায় কারিগরি সহায়তাসংক্রান্ত একটি বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য একটি খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ খসড়া অনুযায়ী, ভারতের কাছ থেকে পরমাণু নিউক্লিয়ার এনার্জি বিষয়ে কারিগরি সহায়তা বিশেষ করে জ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়া যাবে।