এবার খালেদার ‘কালো বিড়াল’ ফাঁস!
বিশেষ প্রতিনিধি : সৌদি আরবে এক দুর্নীতি তদন্তে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের ১২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ আছে বলে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। এসব অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার’ও প্রক্রিয়া চলছে বলে তদন্ত সংস্থা সূত্র জানিয়েছে।বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার করে খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান এবং আরফাত রহমান কোকোর নামে এসব সম্পদ করা হয়।
এরমধ্যে সৌদিআরবে আরাফাত রহমান কোকোর নামে রয়েছে বিলাসবহুল মার্কেট। সৌদি আরবের একটি টিভি চ্যানেল এসম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে। ওই টিভি চ্যানেলের রিপোর্ট এর লিংকটি জাতিরকন্ঠের পাঠকদের জন্য এখানে তুলে ধরা হলো:https://www.facebook.com/shahalam.sapan/videos/1304005733078920/
এছাড়াও জাতিরকন্ঠ ফেসবুক পেজেও এই তথ্য’র ভিডিও কপি দেখা যাবে-এখানে লিংক তুলে ধরা হলো:- https://www.youtube.com/watch?v=KbiEYduzuYI
এদিকে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে সৌদি আরবে বেগম খালেদা জিয়ার অর্থপাচারের অভিযোগ নিয়ে সে দেশের সরকার তদন্ত করছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ। তার দাবি আরবের এই দেশটিতে খালেদা জিয়ার শপিং মল, বহুতল ভবনসহ নানা সম্পত্তি রয়েছে। রবিবার দুপুর জাতীয় প্রেসক্লাবের এক মানববন্ধনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বিদেশি টেলিভিশনের সংবাদ হিসেবে ছড়ানো একটি ভিডিওর কথা তুলে ধরেন হাছান মাহমুদ। ওই ভিডিওতে বলা হয়েছে, সৌদি আরব, কাতারসহ বিশ্বের ১২টি দেশে খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান এবং আরফাত রহমান কোকোর নামে ১২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজির মাধ্যমে এই টাকা অর্জন করা হয়েছে। প্রতি ডলার ৮৩ টাকা ধরে এই টাকার অংক দাঁড়ায় প্রায় এক লাখ কোটি টাকা।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদকে জানিয়েছিলেন, সৌদি আরব খালেদা জিয়ার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই যে সম্পত্তি এই সম্পত্তি লুটপাটের সম্পত্তি, বাংলাদেশ থেকে লুটপাট করে গিয়ে এই সম্পত্তি তারা অর্জন করেছে। এটা আজকে তদন্তে বেরিয়ে আসছে।’
সৌদি সরকারের কথিত তদন্তে যেসব তথ্য জানা গেছে, সেগুলোর আলোকে সৌদি আরবসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খালেদা জিয়া এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে যেসব অবৈধ সম্পত্তি আছে সেগুলো খুঁজে বের করা এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কথা বলে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করে বাংলাদেশে ফেরত আনার দাবিও জানান হাছান মাহমুদ।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো এই ভিডিওর বিষয়ে বিএনপির বক্তব্যও দাবি করেন হাছান। বিএনপি মহাসচিব মির্জা মির্জা ফখরুল আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এই যে বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এত কথা, বিদেশি টেলিভিশনে এত কথা মির্জা ফখরুল সাহেব আপনার মুখে কোন কথা নাই কেন? আজকে এই যখন তদন্ত বেরিয়ে আসছে বিএনপি নেতাদের মুখে দিয়ে কোন কথা বের হয় না কেন।’
বড় ছেলে তারেক রহমানের প্রশংসা করে খালেদা জিয়ার বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্যে বাংলা বাগধারা ‘চোরের মার বড় গলা’ এর মতো।শনিবার রাতে গুলশানে নিজের কার্যালয়ে তারেক রহমানকে নিয়ে লেখা তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সেই রক্তই তারেক রহমানের গায়ে, সেই রক্তই ছিল আরাফাত রহমানের গায়ে। তারা নিজেরা কিছু পাওয়ার জন্য নয়, দেশের মানুষকে কিছু দেওয়ার জন্য, দেশের সম্মান বৃদ্ধির জন্য কাজ করেছে, করছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে শুধু তারেক রহমান নয়, তিনি (খালেদা জিয়া) নিজেও চোর। কারণ চুরিতে তিনি নিজেও ধরা পরেছেন ‘‘তার (তারেক রহমান) বিরুদ্ধে বাংলাদেশে এসে এফবিআই দুর্নীতির সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। বেগম খালেদা জিয়ার লজ্জা লাগে কি না জানি না, আমার কিন্তু এই কথাগুলো শুনতে এবং বলতে লজ্জা লাগে।’আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী ফালগুনি হামিদ প্রমুখ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।