এবার ক্রসফায়ার প্যারিসে-জিম্মী নাটককারীরা নিহত
এছাড়া প্যারিসের একটি সুপারশপে ঢুকে লোকজনকে জিম্মি করে রাখা অপর সন্ত্রাসী (৩২) একই ধরণের অভিযানে নিহত হয়েছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হওয়ার আগে আমেদি তার হাতে জিম্মি থাকা লোকজনের মধ্য থেকে কমপক্ষে চারজনকে হত্যা করে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসি ও এএফপির।
পুলিশ বলেছে, আজ শুক্রবার সাইদ কোশি ও তাঁর ভাই শরিফ কোশি প্যারিসের অদূরের শহর দামার্তাঁ-অঁ-গুলতে একটি প্রিন্টিং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে এক ব্যক্তিকে জিম্মি করে। এরপরই পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ভারি অস্ত্র নিয়ে একযোগে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, লাগাতার ভারি গুলিবর্ষণে দুইজনই নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে, প্যারিসের একটি ইহুদি সুপারশপে ঢুকে আমেদি কৌলিবেলি নামের যে সন্ত্রাসী কয়েকজনকে জিম্মি করার পর তাদের মধ্য থেকে চারজনকে হত্যা করেছে তাকেও হত্যা করেছে কমান্ডো বাহিনী। পুলিশ বলেছে, সমন্বিত অভিযান চালিয়ে জিম্মিদের সবাইকে নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে।প্যারিসের দক্ষিণে শহরতলি মঁরুজ এলাকায় গতকাল এক বন্দুকধারীর গুলিতে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। গুরুতর আহত হন আরেকজন। হামলার পর বন্দুকধারী পালিয়ে যায়। আজকের এ জিম্মি নাটকের ঘটনায় ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, নারী কর্মকর্তাকে হত্যাকারী ওই বন্দুকধারীই আমেদি কৌলিবেলি। তাঁর সঙ্গে গত বুধবার সাপ্তাহিক রম্য পত্রিকা শার্লি হেবদোতে হামলাকারী শরিফ কোশির পরিচয় ছিল। ২০১০ সালে ফ্রান্সে কারাগার ভাঙার সময় শরিফের সঙ্গে আমেদিকে দেখা গেছে।
ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (স.)-কে ব্যঙ্গ করে বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হওয়া শার্লি হেবদোর কার্যালয়ে গত বুধবারের জঙ্গি হামলায় নিহত হন পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদকসহ আট সাংবাদিক, পুলিশের দুই সদস্য ও অন্য দুজন । এ ছাড়া আহত হন আরও ১০ জন। ফ্রান্সের মাটিতে কয়েক দশকের মধ্যে এই হামলাকে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।