‘এবার কাঠগড়ায় বিচার জঙ্গিবাদে মদদদাতাদের’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আহমেদ নূরে আলম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অর্থসহায়তা ও নির্দেশ দিয়ে যারা দেশে জঙ্গিবাদে মদদ জোগাচ্ছে এবং যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করছে, তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। একই সঙ্গে পেট্রলবোমা মেরে যারা নিরীহ জনগণকে পুড়িয়ে মারছে, তাদেরও বিচার করা হবে।যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রিজ কার্লটন হোটেলে আওয়ামী লীগের ওয়াশিংটন শাখার নেতা-কর্মীদের এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এসব রাজনৈতিক মামলা নয়, এসব জনগণকে পুড়িয়ে মারার মামলা। তিনি বলেন, যারা অপরাধী, তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। এ ছাড়া যারা অপরাধীদের সহায়তা করেছে, যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।
এ সময় শত শত দলীয় সমর্থক বিচারের সমর্থনে স্লোগান দিতে থাকেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (গতকাল) ৭০ বছরে পা রেখেছেন। কিন্তু জাঁকজমকপূর্ণ কোনো আয়োজন না করেই তাঁর জন্মদিন পালন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্যের কল্যাণে স্বার্থত্যাগের বিষয়টি বাল্যকালেই তিনি তাঁর মরহুম মা-বাবার কাছ থেকে শিখেছিলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যখন ওই সময় খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য সংগ্রাম চালাচ্ছিল, তখন তাঁর পরিবারের সদস্যরা কখনই জাঁকজমকভাবে জন্মদিন পালন করেননি।
জন্মদিন উদ্যাপনের জন্য কেক কাটা পছন্দ নয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত জনগণের মুখে হাসি ফোটাতে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পূর্ণ করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করা, পাকিস্তানি শাসকদের রুজু করা মামলা মোকাবিলা এবং স্বাধীনতার আন্দোলনকে চালিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁর মায়ের যে অবদান, তা স্মরণ করেন।
অবৈধভাবে জেনারেল জিয়ার ক্ষমতা দখল ও বিএনপি গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জিয়া সেনা আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। যে দল অবৈধভাবে গঠিত হয়েছে, সেই দল জনগণের কল্যাণ করতে পারে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, জিয়ার পুত্র (তারেক) অর্থ পাচারকারী, যা এফবিআইয়ের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কখনো অসৎ পথে যাইনি। আমরা আমাদের নিজেদের ভাগ্য গড়ার চিন্তা করছি না। আমাদের চিন্তা কীভাবে জনগণের কল্যাণ হবে।’
প্রধানমন্ত্রী সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে প্রবাসীদের সজাগ থাকার পরামর্শ দেন। বলেন, এর কারণে যুক্তরাষ্ট্রে অনেক বাংলাদেশিকে জীবন দিতে হয়েছে। এখানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের হত্যা গ্রহণযোগ্য নয়…সব জায়গায়ই সন্ত্রাসবাদ। এ জন্য আরও সজাগ থাকতে হবে।