• শনিবার , ২৩ নভেম্বর ২০২৪

এবার ওয়ান্টেড সেই শিক্ষক!


প্রকাশিত: ৫:১৪ পিএম, ২৪ মে ১৭ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০১ বার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :  এবার ওয়ান্টেড সেই শিক্ষক ! ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগে লাঞ্ছনার শিকার shamol-www.jatirkhantha.com.bdনারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কল্যাণদীতে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে নারাণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্ত বুধবার এই আদেশ দেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকী এ তথ্য জানান।

শ্যামল কান্তি ভক্তের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন জানান, আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।শ্যামল কান্তি ভক্ত বলেন, আমি এ আদালতে ন্যায় বিচার পাইনি।এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে

অভিযোগ এনে ওই শিক্ষিক মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্তের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ গত ১৭ এপ্রিল শ্যামল কান্তি ভক্তকে অভিযুক্ত করে এবং ৪ জনকে সাক্ষী দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে গত বছরের ১৩ মে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কানে ধরে উঠবস করান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। পরে এমপির নির্দেশে তাকে স্কুল থেকে বের করে পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়। ওই ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এলে গত বছরের ১৮ মে হাইকোর্ট স্বঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।

দেশজুড়ে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের বিচার দাবি করেন শিক্ষক-ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এরই মধ্যেই ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ওঠে সমালোচনার ঝড়।

আদালতের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ একটি প্রতিবেদন দাখিল করলেও ‘সেলিম ওসমানকে ছাড় দিয়ে দায়সারা’ ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ১০ আগস্ট বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে শ্যামল কান্তিকে কান ধরে উঠবোসের ঘটনায় সেলিম ওসমান জড়িত কি না-তা খতিয়ে দেখতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান।শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশেই লাঞ্ছনা করা হয় বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগেরও সত্যতা মেলেনি বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।