এবার আর্থিক গোয়েন্দাদের নজরে সেলিম-সাফাতের ব্যাংক হিসাব তলব
বিশেষ প্রতিনিধি : এবার আর্থিক গোয়েন্দাদের নজরে সেলিম-সাফাত। ওদিকে কাল মঙ্গলবার আপন জুয়েলার্স মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমকে তলব করেছে গুল্ক গোয়েন্দারা। এছাড়া ‘আপন জুয়েলার্সের’ মালিক দিলদার আহমেদ ও তার ছেলে সাফাত আহমেদের সব ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটও ওই দুজনের আর্থিক লেনদেন নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ‘আপন জুয়েলার্সের’ মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের কোনও ঘটনা ঘটেছে কি-না বা তারা চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে ফিন্যানন্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক দেবপ্রসাদ দেবনাথ জাতিরকন্ঠকে জানান, ‘আপন জুয়েলার্সের’ মালিক দিলদার আহমেদের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দারা বেশ কয়েকদিন ধরে কাজ করছেন। এরই অংশ হিসেবে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে তাদের লেনদেনের যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর থেকে দিলদার আহমেদ ও তার ছেলে সাফাত আহমেদের আর্থিক লেনদেনের যাবতীয় তথ্যাদি চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয়া হয়। একই দিন পুলিশের পক্ষ থেকেও তাদের যাবতীয় তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়।
রাজধানীর বনানীর ‘রেইনট্রি হোটেল’ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে গত ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামি সাফাত। গত ৬ মে বনানী থানায় করা ওই মামলায় ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য চার আসামির মধ্যে দুজন সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফ এবং বাকি দুজন তার দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ ও গাড়িচালক বিল্লাল। সাফাত ও সাকিফকে গত বৃহস্পতিবার সিলেট থেকে গ্রেফতারের পর শুক্রবার রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, রোববার সকালে ‘রেইনট্রি হোটেলে’ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েক বোতল বিদেশি মদ ও নথিপত্র জব্দ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এ ছাড়া ‘অবৈধ সম্পদের’ খোঁজে অভিযান চালিয়ে রোববারই রাজধানীর ‘আপন জুয়েলার্সের’ একটি শোরুম সিলগালা করে দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের আরও চারটি শোরুমে অভিযান চলানো হয়।