• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

এনআরবি’র নারীবাজ-লুটেরাদের রাজত্ব খতম


প্রকাশিত: ৩:৩৪ পিএম, ৬ ডিসেম্বর ১৭ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২০ বার

এস রহমান :   নারীবাজ সেকান্দার আলীর ‘নারী কেলেংকারি’র রেশ না কাটতেই এবার অর্থ লুটপাটকারি দেওয়ান মুজিবর রহমানের কারসাজিতে ডুবতে বসেছে এনআরবি dewan_mujibur_rahman.www.jatirkhantha.com.bdকমার্শিয়াল ব্যাংক (এনআরবিসি)। কিন্তু ডোবার আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক এর রাশ টেনে ধরেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের চোরচক্র এনআরবিসি’র ক্রিমিনালদের টাকা খেয়ে তাদের বাঁচাতে চেয়েছিল। কিন্তু বিধি বাম। অর্থমন্ত্রী তা হতে দেননি। ফলে এনআরবিসি’র এমডি এবার ছিটকে পড়লেও তার সহযোগীরা বহাল তবিয়তে বগল বাজাচ্ছে। ওদিকে বাংলাদেশে ব্যাংক এর ওই কুচক্রীমহলটিও নিজেদের আখের গুছিয়ে নিলেও বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণর কোন ব্যবস্থা নেননি।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ নিশ্চিত হওয়ায় এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের (এনআরবিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দেওয়ান মুজিবর রহমানকে অপসারণ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। আগামী দুই বছর তাঁর কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যোগদানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকটিতে পাঠানো এক নির্দেশনায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা।বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে ২০১৬ সালেই এনআরবিসির ৭০১ কোটি টাকা ঋণে গুরুতর অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকটিতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের ২০ মার্চ ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও এমডির কাছে পাঠানো পৃথক নোটিশে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আমানতকারীদের স্বার্থে ও জনস্বার্থে এনআরবিসি ব্যাংক চালাতে ব্যর্থ হয়েছে ফরাছত আলীর নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদ। আর এমডি ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাংকটিতে যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে। এমনকি তাঁরা গুরুতর প্রতারণা ও জালিয়াতি করেছেন, যা ফৌজদারি আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয়।

এমডিকে এসব কথা জানিয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং এমডিকে কেন অপসারণ করা হবে না, নোটিশে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ৪৬ ধারা অনুযায়ী ব্যাংকের পরিচালক/এমডিকে অপসারণ করা যায়। তবে অজ্ঞাত কারণে চেয়ারম্যানকে বাঁচাতে ৪৬ ধারার বিষয়টি এড়িয়ে যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই নোটিশে ১০টি কারণ তুলে ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১০ কারণের মধ্যে ৭টির সঙ্গেই কোনো না কোনোভাবে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল আহসান জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ নোটিশের বিরুদ্ধে দুজনই আদালতে যান। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে রায় এলে গত ৩ মে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও এমডি নোটিশের জবাব দেন। এরপর দুই মাস পেরিয়ে গেলেও অজ্ঞাত কারণে প্রক্রিয়াটা থমকে থাকে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীর কাছে ব্যাংকটির একটি পক্ষ অভিযোগ করে, সব অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার পরও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বিচারপ্রক্রিয়া আটকে রেখেছেন, যা নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর আবারও নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত জুলাইতে এমডি দেওয়ান মুজিবর রহমানের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবার প্রক্রিয়া শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ ও জবাবের প্রয়োজনীয় নথিপত্র স্থায়ী কমিটির কাছে জমা দেয় ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ। গভর্নর ফজলে কবিরের অনুমোদনের পরই স্থায়ী কমিটিতে যায় এসব নথিপত্র।