• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

‘এডিস মশা নিধনে আমরা কাজ করছি’


প্রকাশিত: ৫:৩৭ পিএম, ২৭ জুলাই ১৯ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯০ বার

আড়াইহাজার প্রতিনিধি : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশা নিধনে আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে উভয় সিটি কর্পোরেশনই এক সাথে কাজ করছি। এখানে সমন্বয়হীনতার কোনো রকম অস্তিত্ব নাই। সবাই সম্মনিতভাবে কাজ করছেন। শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত “মেঘনা নদী দুষণ ও দখলরোধ বিষয়ক” মতবিনিময় সভায় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, গত কয়েক দিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শে সপ্তাহ ব্যাপী মশা নিধন অভিযান আরম্ভ করা হয়েছে। সেটাতে উভয় সিটি কর্পোরেশন একসাথে থেকে আমরা উদ্বোধন করেছি। আমি মনে করি না কোনো সমন্বয়হীনতা আছে।তিনি বলেন, যে সমস্ত বক্তব্য উঠে আসছে, অভিযোগ আসছে এগুলোর সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। মশা নিধন করা হচ্ছে। আমি মনে করি মশা কমেছে। কিন্তু এডিস মশা সাধারণত বৃষ্টিতে ছাদে যে পানি জমে থাকে ওই পানি থেকেই জম্মে। ফুলের টপে যে পরিস্কার পানি সেগুলোতে জম্মে। বার্থরুমের কমেটের মধ্যে যে পরিস্কার পানি আছে। সেখানে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই এডিস মশার জম্ম হয়।

এর আগে মন্ত্রী স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, মহাপরিচালক পরিবেশ অধিদপ্তর,চেয়ারম্যান বিআইডব্লিউটিএসহ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মন্সিগঞ্জ, নরসিংদ, চাঁদপুর, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার জেলা প্রশাসক এবং মেঘনা নদীর তীরবর্তী চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

মেঘনা নদীতে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ডিইএসডব্লিউএসপি প্রকল্প এবং সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার ফেজ-৩ প্রকল্পের নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার বিশ্বনন্দী ও একই জেলার সোনারগাঁও উপজেলার হাড়িয়া এলাকা থেকে পানি নেওয়া হবে।সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নদীগুলোকে দুষণ ও দখল মুক্ত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি কমিটি করেছেন। সেই কমিটির স্থানীয় সরকার মন্ত্রী হিসেবে আমার ওপর পড়েছে। মেঘনা নদী যাতে আর দুষণ না হয় এবং অন্যান্য নদীগুলোও যেন আর দুষণ না হয়, সে ব্যাপারে আমাদের বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিদেশী র্জামান এ্যাম্বসেডার, সার্ভেভিয়ার অফ ফান্স এবং বিভিন্ন ডেভেলপমেন্ট পার্টনাররা এই অনুষ্ঠানে যোগদান করছেন। তারা আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। যে সমস্ত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে সেগুলো শুনেছেন। শুনে তারা মুগ্ধ হয়েছেন এবং তারা অঙ্গিকার করেছেন আমাদের সাথে এক সাথে থেকে নদীগুলো নাব্যতা ফিরিয়ে আনা। দুষণ বন্ধ করার ব্যাপারে তারা তাদের পক্ষ থেকে অবদান রাখবে এবং সাহায্য করবে।তিনি বলেন, যারা শিল্প কারখানা করেছেন। তাদেরকে নিয়ম নেমে চলতে হবে। শিল্পের কোনো বর্জ্য নদীতে পড়ে নদী দুষণ করতে দেওয়া হবে না। নদীর জায়গা দখল করে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা এ ব্যপারেও অত্যন্ত কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।