‘এটি গরীব রক্ষার বাজেট’
সংসদ রিপোর্টার : ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উচ্চাভিলাষী; তবে উচ্চাভিলাষ না থাকলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে। প্রস্তাবিত বাজেট গরীব মারার নয়, এই বাজেট গরীব রক্ষার বাজেট।প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনার ৮ম দিনে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, অনেকে এই বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বলে অবহিত করেন। কিন্তু বিগত ৭ বছরের বাজেট পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এই বাজেট মোটেও উচ্চাভিলাষী নয়। জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আরও বড় অংকের বাজেট দেওয়ার প্রয়োজন ছিল।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থারও অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। দারিদ্র্যের হার কমে এখন ১২ দশমিক ১ শতাংশ, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে, মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অনেক বেড়েছে, মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে কমে বর্তমানে ৬ শতাংশে উপনীত হয়েছে, খাদ্য উৎপাদন বেড়ে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
তারা বলেন, ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ কিছুটা কমলেও সরকারি বিনিয়োগ অনেক বেড়েছে। দেশের ৪৮ লাখ ৪০ হাজার শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাচ্ছে।
কৃষি খাতে ভর্তুকি হ্রাসের সমালোচনা করে তারা বলেন, কৃষি খাতে ভর্তুকি কমানো সঠিক হয়নি। কারণ একটি দেশকে খাদ্যে সমৃদ্ধশালী করতে হলে অবশ্যই কৃষিতে ভর্তুকি বাড়তে হবে। তারা বলেন, বাজেটে দারিদ্র্য বিমোচনের কোন দিক নির্দেশনা নেই।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি হয়েছে এবং অনেক টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়েছে উল্লেখ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শৃংখলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তারা।
বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র সদস্যরা বাজেটে ভর্তুকি বাড়ানো এবং কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানিতে কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেন। তারা বলেন, গার্মেন্টস শিল্পের উৎস কর থেকে অর্জিত অর্থ যাতে শ্রমিকের কল্যাণে ব্যয় হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য খাতেও বরাদ্দ বাড়ানো উচিত।