এটিএম জালিয়াত সিটি ব্যাংকের মোরশেদ রেজাউল রিয়াজ পাকরাও
শফিক রহমান : এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত সিটি ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা এখন গোয়েন্দাদের হেফাজতে। গ্রেফতারকৃত সিটি ব্যাংকের এই তিন কর্মকর্তা হলেন, মোরশেদ আলম মাকসুদ, রেজাউল করিম ও রিয়াজ আহমেদ।
পিটারের সহযোগী সিটি ব্যংকের এই তিন কর্মকর্তা একাধিক এটিএম কার্ড জালিয়াতি ঘটনায় জড়িত রয়েছে বলে গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন । সিটি ব্যাংকের কার্ড ডিভিশনের প্রধান মাজহারুল ইসলাম জাতিরকন্ঠকে জানান, গ্রেফতারকৃতরা মাচেন্ট ব্যাংকিং এর সঙ্গে জড়িত।
ওদিকে গ্রেফতারকৃতদের নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশ। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে ইতিমধ্যে এদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জাতিরকন্ঠকে জানায়, ব্যাংকের এটিএম বুথে কার্ড জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথমে থমাস পিটার কে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার তথ্য ও জিজ্ঞাসাবাদে সিটি ব্যাংকের আরও তিন কর্মকর্তার যোগসাজশ পাওয়া যায়।
রোববার রাতভর অভিযান চালিয়ে সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা মোরশেদ আলম মাকসুদ, রেজাউল করিম ও রিয়াজ আহমেদকে পাকরাও করা হয়।রাতেই তাদের নেয়া গোয়েন্দা কার্যালয়ে। সেখানে উর্ধ্বতণ কর্মকর্তারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, পিটারের তথ্যর ভিত্তিতে রোববার রাতেই অভিযান চালানো হয় সিটি ব্যাংকের তিন কর্মকর্তার বাসায়। পরে তাদের আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় নেয়া হয়।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, থমাস পিটার জার্মানির নাগরিক। তাঁর পোল্যান্ডের পাসপোর্ট রয়েছে। আটক হওয়া তিন ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন মোরশেদ আলম মাকসুদ, রেজাউল করিম ও রিয়াজ আহমেদ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার সোমবার সকালে জানান, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ইউসিবি কর্তৃপক্ষ বনানী থানায় মামলা করে এজাহারের সঙ্গে সিসিটিভির ভিডিও জমা দেয়া হয়। ওই বিদেশি যাতে বাংলাদেশ থেকে পালাতে না পারে, সেজন্য বিমান, নৌ ও স্থলবন্দরগুলোতে নজরদারি চালাতে অনুরোধ করা হয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে।