এখনো জেগে না উঠলে সবার মরণ আছে : তালেয়া রেহমান
স্টাফ রিপোর্টার : ‘শফিক রেহমান শুধু চাইতেন ভালবাসা ও গান নিয়ে থাকতে। তিনি কাউকে হত্যার 
প্রচেষ্ঠা করতে পারেন-এটি অসম্ভব, আমি বিশ্বাস করি না। এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে জেগে উঠতে হবে। আমরা সবাই যদি এখনো জেগে না উঠি, তাহলে সামনে আমাদের সকলের মরণ আছে।’বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘শফিক রেহমান মুক্তি মঞ্চ’ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আপনারা (আলোচক) বলছেন, শফিক রেহমান জেলে গিয়ে আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছেন। তারপরেও আমি চাই না, উনি (শফিক রেহমান) জেলে থাকুক। কারণ, তার বয়স হয়েছে। তিনি অসুস্থ। তাছাড়া তার ডায়াবেটিসও আছে। এই রকম একজন মানুষকে যদি এইভাবে বিনাবিচারে আরো কিছুদিন জেলে রাখা হয় সেটি হবে আমানবিক। শুনেছি, তার বিরুদ্ধে আরো কিছু অভিযোগ আনা হবে। আরো শুনেছি, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মতো তাকে আরো রিমান্ডে নেয়া হবে। এসবের কোনো কিছুই আমি চাই না।
তিনি আরো বলেন, আজকে দেশ কী রকম রূপ ধারণ করেছে, আলোচকরা তা বলেছেন। দেশের এই রকম রূপ আমরা চাই না। এইজন্য আমরা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধ করিনি।শফিক রেহমানের সহধর্মিণী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শফিক রেহমান দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন। বাংলাদেশে তখন কী অবস্থা, সেটা বিদেশে সব মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন তিনি।
এইসব কাজের ফলেই আজকের বাংলাদেশ। যিনি এসব করেছেন তার বিরুদ্ধে এই ধরনের (প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা প্রচেষ্টা) অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ উনি (শফিক রেহমান) এতটুকু রক্তও দেখতে পারতেন না। রক্তকে ভয় পেতেন। এজন্য ইনজেকশনও নিতে পারতেন না।
শফিক রেহমান মুক্তিমঞ্চের কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকে আমরা এটি শুরু করলাম। আশা করি, এটি (কার্যক্রম) চলবে। তবে তার আগেই আমি শফিক রেহমানের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
তালেয়া রেহমানের সভাপতিত্বে ও জি-৯ এর সাধারণ সম্পাদক ডা. সাখাওয়াৎ সায়ন্তের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম সেলিম, ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ প্রমুখ।
