এক কমলা সুন্দরীর সার্থক চ্যালেঞ্জ
ডেস্ক রিপোর্ট: কুমিল্লায় সার্থক বলো এক কমলা সুন্দরীর চ্যালেঞ্জ। তাঁর সঙ্গে ছিল এক যাদুকর। যে যাদুকর ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যধরনের এক উচ্চতায়। তার নেতৃত্বেই সার্থক হলো কুমিল্লার কমলা সুন্দরীর চ্যালেঞ্জ।
কমলা সুন্দরীর বাবা পরিকল্পনা মন্ত্রী, আইসিসি ও বিসিবির সাবেক সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল।কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়েছেন তিনি। তার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে কলেজে। ওটার সঙ্গে মিলিয়ে আমরা দলের নাম রেখেছি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
বাংলাদেশের পেশাদার টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট লিগ বিপিএল। এবার নতুন দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এবারের আসরে একমাত্র নারী চেয়ারম্যান নাফিসা কামাল। তিনি নিজের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা লিজেন্ড লিমিটেড থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়েছেন তৃতীয় আসরে।
তিনি বলেন, প্রথম দুটি আসরে সিলেট রয়্যালসের চেয়ারম্যানও ছিলাম । বাবার সূত্র ধরে ব্যবসায়ে সম্পৃক্ত হয়েছি। চেষ্টা করছি ব্যবসা গুছিয়ে নেওয়ার। আর ক্রিকেটের সম্পৃক্ততার বিষয়টি তো এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। তাই জড়িয়ে গেলাম।
আমাদের পুরো পরিবারের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে ক্রিকেট। ক্রিকেট আমাদের কাছে সন্তানের মতো। আব্বুর কথাই ধরা যাক। উঠতে-বসতে-খেতে কেবল ক্রিকেট আর ক্রিকেট। বাংলাদেশের খেলার সময় বাবা হয়তো কোথাও ব্যস্ত। সেখান থেকেও একটু পরপর ফোন খেলার কী অবস্থা? উইকেট ক’টা পড়ল… ইত্যাদি ইত্যাদি। এমন ক্রিকেটবান্ধব পরিবেশে বেড়ে উঠলে ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থেকে উপায় আছে?
নারী হিসেবে ক্রীড়া সংগঠকের কাজ করতে গিয়ে অনেক পরিশ্রম করতে হচ্ছে। অন্যদের চেয়ে ডাবল কিংবা ট্রিপল ইফোর্ট দিয়েও অনেক সময় কাজ হচ্ছে না। এখনো যখন কোনো মিটিং কিংবা ইভেন্টে যাই, দেখা যায় হলরুম জুড়ে আমি একাই মেয়ে। তখন বুঝতে পারি আমার এই সেক্টরটাতে আমি আসলেই একা। তবে একটা কথা না বললেই নয়, মানুষের ভালোবাসা কিংবা সম্মানের জায়গাটা ঠিক পেয়েছি। ক্রিকেটারদের সঙ্গেও একটা হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক আছে। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতা কিন্তু খারাপ নয়।’
তাকে সবাই সুন্দরী বলে। বলে তিনি অনেক ফ্যাশনেবলও। কিন্তু যাকে নিয়ে এত কথা তার কী অভিমত? ‘সবাই হয়তো ভালোবাসার কারণে বলে। তবে এটা ঠিক আমি চেষ্টা করি নিজের মতো চলার। এটা যদি কারও কাছে সুন্দর আর ফ্যাশনেবল মনে হয় তাহলে আমি কী বলব?’
নাফিসার সব ধরনের পোশাকেই আগ্রহ রয়েছে। ব্যবসা আর ক্রীড়াঙ্গন সামলাতে হয় বলে বেশির ভাগ সময়ে তাকে ওয়েস্টার্ন আউটফিটে দেখা যায়। তবে নাফিসা জানালেন, পোশাকের ব্যাপারটা নির্ভর করে কোথায় কী উদ্দেশ্যে যাওয়া হচ্ছে তার ওপর।
‘ভালোই লাগে। তবে এসবের কিছুই কিন্তু আমার কাছে নতুন নয়। বাবাকে দেখে বাবার আদর্শে বড় হয়েছি। তাই ছোটবেলা থেকেই এসব নিজের মধ্যে ছিল। আমি শুধু বাবার ভাবনাটুকু টেনে নিয়ে যেতে চাই অনেক দূর।’