একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি-১৮ জুন পর্যন্ত টেলিটক মাধ্যমে এসএমএস-এ আবেদন-২৫ জুন ভর্তির তালিকা প্রকাশ-ভর্তি ৩০ জুন পর্যন্ত
এস রহমান.ঢাকা: দেশের সব সরকারি-বেসরকারি কলেজে শনিবার থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থাপনা একাডেমীতে (নায়েম) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
জানা গেছে, বিগত কয়েক বছরের মতো এবারো মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। এবার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়ে গত সোমবার ভর্তি নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ১ জুলাই থেকে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে। গত ৩০ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়, যাতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮৭ দশমিক ০৪ শতাংশ শিক্ষার্থী।
ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, এবারের এসএসসিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ছাড়াও ২০১৩ ও ২০১৪ সালে পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। নীতিমালায় বলা হয়েছেÑ কোনো কলেজ চাইলে তাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবে। প্রত্যন্ত/অনগ্রসর অঞ্চলের সহশিক্ষার কলেজে ছাত্রীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। কারিগরি শিক্ষায় ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তিতে ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং জিপিএর ভিত্তিতে বাকি ৫০ নম্বরের আলোকে মেধাক্রম নির্ধারণ করতে হবে। ভর্তির জন্য আজ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এসএমএস-এ আবেদন করতে হবে। যারা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন তারা ২১ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে। আগামী ২৫ জুন ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। বিলম্ব ফি ছাড়া ৩০ জুন পর্যন্ত ভর্তি হওয়া যাবে। আর বিলম্ব ফি দিয়ে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি চলবে। ভর্তির জন্য টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএস করে ১৫০ টাকা জমা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। সর্বোচ্চ ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পছন্দক্রমে রাখতে পারবেন শিক্ষার্থী, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদনে খরচ পড়বে ১২০ টাকা।
নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে ৭টি বিভাগীয় সদরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের ৯০ শতাংশ আসন সবার জন্য থাকবে। অবশিষ্ট ১০ শতাংশ আসনের মধ্যে ৩ শতাংশ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সদরের বাইরের এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এবং স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বিভাগীয় শহর ছাড়া জেলা শহরের কলেজগুলোতেও ৯০ শতাংশ আসন সবার জন্য উš§ুক্ত রাখতে হবে। বাকি ১০ শতাংশ বিভাগীয় সদরের কলেজের মতো একইভাবে পূরণ করা হবে। নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করে বিলম্ব ফি দিয়ে অন্য কলেজে ভর্তি হতে চাইলে অভিভাবকের সম্মতিসহ সংশ্লিষ্ট কলেজে আবেদন করতে হবে।
ঊওওঘ নম্বর স্পেস গ্রুপের নামের প্রথম দুই অক্ষর স্পেস বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস রোল নম্বর স্পেস পাসের সন স্পেস শিফটের নাম স্পেস ভার্সন স্পেস কোটায় আবেদন করলে তার নাম পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে একটি পিন নম্বর দেয়া হবে। আবেদনে সম্মত থাকলে ঈঅউ স্পেস ণঊঝ স্পেস পিন নম্বর স্পেস যোগাযোগের মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে আবারও পাঠাতে হবে। এভাবে পাঁচটি আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। প্রতিবারের জন্য ১২০ টাকা ফি কেটে রাখা হবে।
আর অনলাইনে আবেদন করতে হলে www.xiclassadmission.gov.bd
ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর রোল নম্বর, বোর্ড ও পাসের সন এন্ট্রি করলে আবেদন ফর্ম পাওয়া যাবে। একজন শিক্ষার্থী পাঁচটি কলেজ পছন্দ করতে পারবে। আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর প্রার্থী একটি আবেদনের আইডি ও পাসওয়ার্ড পাবে। এরপর টেলিটকে ১৫০ টাকা ফি পাঠাতে হবে। এসএমএসে গিয়ে আবেদনের আইডি লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে একটি পিন নম্বর পাঠানো হবে। আবেদনে সম্মত থাকলে পিন নম্বর লিকে ১৬২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ১৮ জুনের মধ্যে আবেদনকারিরা পছন্দ পরিবর্তন করতে চাইলে আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে তা করতে পারবেন। তবে একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ দু’বার পছন্দ পরিবর্তন করতে পারবে।