একাত্তরের ‘মুক্তিযুদ্ধ’ নিয়ে ঢাকা-দিল্লি বানাবে-‘মুক্তি ৭১’
নয়াদিল্লি থেকে মিরা নায়ার : ১৯৭১ সালের ‘মুক্তিযুদ্ধ’ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে তথ্যচিত্র বানাবে ভারত৷ বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে এই কথা ঘোষণা করা হয়েছে৷ ২০২০-তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী৷ তার আগেই এই ‘মেগা মুভি’ বানিয়ে ফেলা হবে বলে জানা গিয়েছে৷
বুধবার দিল্লিতে বৈঠকে বসেন ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু ও বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু৷ সেই বৈঠকেই হাসানুল হকের তরফে ১৯৭১-এর যুদ্ধ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র বানানোর প্রস্তাব রাখা হয়৷ তাতে সম্মতি জানান বেঙ্কাইয়া নাইডু৷
২০২০-তে বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মজয়ন্তী৷ তার আগেই প্রসার ভারতী ও বাংলাদেশ টিভি-র তরফে তথ্যচিত্রটি বানিয়ে ফেলা হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে দুই দেশের তরফে৷ ২০২১ সালে বাংলাদেশের ৫০তম স্বাধীনতা দিবস৷
অর্থাৎ ১৯৭১-এর যুদ্ধেরও ৫০ বছর৷ তাই সেক্ষেত্রে এই তথ্যচিত্র দুই দেশের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে৷ ১৯৭১-এ আলাদা রাষ্ট্রের দাবি তুলে আন্দোলন ও গেরিলা লড়াই শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধারা৷ নেতৃত্ব দেন শেখ মুজিবুর রহমান৷ প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তানি সেনারা গণহত্যালীলা শুরু করে৷
বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনের পাশে দাঁডাতে গোটা বিশ্বের কাছে দরবার করেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী৷ এর পরেই ক্ষিপ্ত পাকিস্তান পশ্চিম সীমান্ত আক্রমণ করায় সরাসরি যুদ্ধে নামে ভারত৷
পূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযান কার্যত ছিল মাখনের মধ্যে দিয়ে ছুরি চালানো৷ অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় অভিযানকারী ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেনাপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল অরোরার কাছে নিঃশর্তে আত্মসমর্পণ করেন পাক সেনাবাহিনীর জেনারেল নিয়াজি৷
জন্ম হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের৷ সেইসব ঘটনা নিয়ে দুই দেশের তরফে আলাদা আলাদা করে একাধিক তথ্যচিত্র তৈরি হয়েছে৷ তবে সরকারিভাবে দিল্লি-ঢাকা যৌথ উদ্যোগে এই প্রথম কোনও তথ্যচিত্র নির্মিত হতে চলেছে৷