• সোমবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৪

একটি লাভম্যারেজ-একটি এসএমএসে খুন হলো শরীফা-খুনীর ফাঁসির নির্দেশ


প্রকাশিত: ৩:৩৪ পিএম, ১২ মে ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৭ বার

খুলনা থেকে ফিরে সাইফুল বারী মাসুম   : একটি লাভম্যারেজ-একটি এসএমএসে খুন হলো oশরীফা-খুনী মাহমুদুলের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পারিবারিক সূত্র জাতিরকন্ঠকে জানায়, ইডেন কলেজের ছাত্রী শরীফা আক্তারের সঙ্গে মাহমুদুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিল। দীর্ঘ প্রেম প্রেম খেলার পর উভয় পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে তারা গোপনে ‘লাভ ম্যারেজ’ করে বিয়ে করেন।

প্রেমের বিয়ে ভালই চলছিল সংসার।  ছয় মাস কেটে যায়। এক পর্যায়ে ঘটনা জানাজানি হলে উভয় পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়ে ২০১৩ সালের ১০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে দেন।এর তিনদিন পর রাতে শরীফার মোবাইল ফোনে এমএমএস নিয়ে মাহমুদুলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শরীফাকে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন মাহমুদুল।

00আদালত সূত্র জানায়, বাগেরহাটে ইডেন কলেজের ছাত্রী শরীফা আক্তার পুতুলকে হত্যার দায়ে তার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান খান এই রায় দেন।

আসামি শিকদার মাহমুদুল আলম মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের উদয়পুর দৈবকান্দি গ্রামের প্রয়াত শিকদার সামছুল আলমের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

নিহত শরীফা আক্তার পুতুল একই গ্রামের মো. আবু দাউদের মেয়ে এবং ঢাকা ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইতিহাস বিভাগের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি শেখ মোহম্মদ আলী মামলার বরাত দিয়ে বলেন, আত্মীয়তার সূত্রে ইডেন কলেজের ছাত্রী শরীফা আক্তারের সঙ্গে মাহমুদুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে তারা গোপনে বিয়ে করেন।

ছয় মাস পর ঘটনা জানাজানি হলে উভয় পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়ে ২০১৩ সালের ১০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে দেন। এর তিনদিন পর রাতে শরীফার মোবাইল ফোনে এমএমএস নিয়ে মাহমুদুলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শরীফাকে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন মাহমুদুল।

ঘটনার পরদিন ১৪ মে নিহত শরীফার বাবা মো. আবু দাউদ বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।ঐ বছরের ১০ নভেম্বর মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মোল্লাহাট থানার ওসি আ ন ম খায়রুল আনাম। আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই রায় ঘোষণা করে।