• বৃহস্পতিবার , ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

এই অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারবে টাইগাররা?


প্রকাশিত: ১১:০১ পিএম, ১৮ মার্চ ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৭ বার

আসমা খন্দকার   :   অনেক রোমাঞ্চ জাগিয়ে শেষমেষ অস্ট্রেলিয়ার ইজ্জত পাংচার হলো-ই। এই অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারবে টাইগাররা? এমন প্রশ্ন ছিল 2একাধিক সমর্থকদের। যারা বাংলাদেশ ক্রিকেট দল মাশরাফিদের ভালবাসে । শুক্রবার ম্যাচ শেষে একাধিক বাংলাদেশ সমর্থক জাতিরকন্ঠকে একথা জানান, অস্ট্রেলিয়া আজ শুক্রবার যা খেলেছে তাতে বাংলাদেশ পারবে!

দুদলের সর্বশেষ সেই ম্যাচটি শেষ বলে ‘টাই’ করেছিল অস্ট্রেলিয়া, সুপার ওভারে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। আজ 1বিশ্বকাপের সুপার টেনে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচটাও সুপার ওভারে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত হয়নি। শেষ দুই ওভারে রোমাঞ্চ জাগিয়েও ৮ রানে হেরে গেল স্টিভ স্মিথের দল।

২০১০ সালে ক্রাইস্টচার্চের সেই ম্যাচে মাইকেল ক্লার্ক ও ক্যামেরন হোয়াইটের দুটি দুর্দান্ত ইনিংসের সৌজন্যে ২১৪ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। আজ লক্ষ্যটা অনেক কম ছিল, ‘মাত্র’ ১৪৩। কিন্তু আজ ‘ক্লার্ক-হোয়াইট’ হয়ে উঠতে পারলেন না ম্যাক্সওয়েল ও মিচেল মার্শ। একটা সময় যে ম্যাচে জেতা বেশ সহজ মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার জন্য, সেটিতেই কেমন রং বদলে উল্টো হতাশ হয়ে ফিরতে হলো তাদের।

দুই ওপেনার ভালো সূচনা এনে দিয়েছিলেন। ১২ বলে ১৩ রান করে শেন ওয়াটসন আউট হওয়ার আগে মাত্র ৫.১ ওভারেই গড়ে তুলেছিলেন ৪৪ রানের জুটি। তবে তাঁর সঙ্গী উসমান খাজাই বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন। ৩৮ রান করেছেন ২৭ বলে। তবে খাজা আউট হতেই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের গতিও যায় কমে। স্মিথ-ওয়ার্নাররা আজ আর ভরসা দিতে পারলেন না।

পাঁচ ও ছয় নম্বর ব্যাটসম্যান ম্যাক্সওয়েল ও মিচেল মার্শ চেষ্টা করেছিলেন। রান করে যাচ্ছিলেন ওয়ানডে গতিতে, তবে ইনিংসটাকে বেপথু হতে তো দেননি। ১৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার রান ১০০ তেও নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ষোলো নম্বর ওভারের প্রথম বলে ম্যাক্সওয়েল আউট হতেই যেন বাঁধ ভেঙে পড়ল। দরকার তখনো ছিল ৪৩, কিন্তু বাকি ২৯ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩২ রানই করতে পারল অস্ট্রেলিয়া।

জয়ের আশা জাগানো ম্যাচে হার দিয়েই বিশ্বকাপ শুরু হলো স্মিথদের। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের গল্পটাও একই। ভালো শুরুটাকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিতে না পারা। দুই ওপেনার যেমন শুরু এনে দিয়েছিলেন, তাতে হয়তো ১৭০-৮০ রানের স্বপ্নই দেখছিল কিউইরা।

মার্টিন গাপটিলকে সঙ্গে নিয়ে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। ২০ বলে ২৪ রান করেছেন কিউই ওপেনার, সঙ্গী গাপটিল তো আরও ভয়ংকর। ২৭ বলে করেছেন ৩৯। কিন্তু এ দুজন আউট হওয়ার পর গতি হারাতে থাকে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। হার্ড-হিটার কলিন মানরো তো অবিশ্বাস্যরকম ধীর—২৬ বলে ২৩।

তবু কিউইরা যে শেষ পর্যন্ত ১৪২ করতে পেরেছে, সেটি আসলে গ্র্যান্ট এলিয়টের কৃতিত্ব, শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ২০ বলে ২৭ করেছেন তিনি।
তবে এখন ওসব নিয়ে ভাবতে বয়েই গেছে উইলিয়ামসনের দলের। গ্রুপ অব ডেথের প্রথম দুই ম্যাচেই ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দুই পরাশক্তিকে হারিয়ে যে এরই মধ্যে বিশ্বকাপ-পূর্ব সব জল্পনা-কল্পনা পালটে দিয়েছে তারা।