এআইইউবি’র ছাত্র অপহৃত ইমরানকে উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি
বিশেষ প্রতিবেদক : রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র আসিফ ইমরানকে (১৯) উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার বাবা লুৎফর রহমান। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, পুলিশের আইজির হস্তক্ষেপ কামনা করে অপহৃত ইমরানের পরিবার।
শনিবার সকালে সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বহুমুখী সমবায় সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরানের পরিবারের সদস্যরা এই দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লুৎফর রহমান বলেন, চার আসামির তথ্যের ভিত্তিতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর ইসলামের ভাতিজা রিয়াজুল ইসলাম ও রাফসান জানিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের কিছুদিনের মধ্যেই রিয়াজুল ইসলাম জামিনে কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন। রাফসান জানিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যরা কারাগারে আছেন।
লুৎফর রহমান বলেন, থানায় জিডি করার পর গোলাম মোস্তফা ও গোলাম মোহাম্মদ কালু সশরীরে ও মোবাইল ফোনে দুই দফায় ১০ লাখ ও ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন। তিনি বলেন, আসামিরা সব গ্রেফতার হলেও তার ছেলেকে পুলিশ উদ্ধার করতে পারছে না। পুলিশ বলছে, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর ইসলামের লোকদের কাছেই ইমরান আছে। কেন উদ্ধার করা হচ্ছে না, এর কোনো জবাব দিতে পারছে না পুলিশ।
লুৎফর রহমান জানান, তার ছেলে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র। পরিবারের সবাইকে বাসায় রেখে তিনি ও তার স্ত্রী গত বছরের ৪সেপ্টেম্বর হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যান। সেখানে থাকা অবস্থায় তিনি জানতে পারেন, গত ৭অক্টোবর তার ছেলে আসিফ ইমরানের বন্ধু গোলাম মোস্তফা ওরফে আদর তাকে উত্তরার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে বেড়ানোর কথা বলে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার নয়াপাড়ায় তাদের গ্রামের বাড়িতে যান।
এরপর তিনি ফেরত না আসায় তার মেয়ে তামান্না উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ ঘটনার পর অপহরণকারী তার ছেলেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রথমে বিশ লাখ পরে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।এরপর তিনি হজ থেকে ফিরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি অপহরণ মামলা করেন, যা উত্তরা পশ্চিম থানায় তদন্তধীন রয়েছে।
মামলায় আসামি করা হয় গোলাম মোস্তফা, গোলাম মোহাম্মদ কালু, মো. শাকিল ও আলমগীর ইসলামকে। আসামিদের মধ্যে আলমগীর ইসলাম নারায়ণগঞ্জের ১৭নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আসামিরা সবাই নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা ও পেশাদার অপহরণকারী বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।