• মঙ্গলবার , ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ঋণ জালিয়াত আল-আরাফাহ ইসলামি ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা


প্রকাশিত: ৭:১১ এএম, ২৬ মে ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২২৪ বার

স্টাফ রিপোর্টার   :   ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আল-আরাফাহ ইসলামি 1ব্যাংকের এক ব্যবস্থাপকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ারা জারি করেছেন আদালত।বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো. নাজমুল হোসেন চৌধুরী এ পরোয়ানা জারি করেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানাভূক্ত ব্যক্তিরা হলেন, আল-আরাফাহ ইসলামি ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার ব্যবস্থাপক আকতার কামাল, অপারেশন ম্যানেজার নাহিদ হোসেন, বিনিয়োগ শাখার প্রধান ইমতিয়াজ আলম, ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন আহমেদ ও আক্তার হোসেন।

ব্যাংক থেকে ঋণগ্রহীতা নগরীর এনায়েত বাজারের ফেমাস স্যানিটারির মালিক ব্যবসায়ী মীর মঈনুল হাসান চৌধুরী আপেলের দায়ের করা মামলায় উক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জারি হওয়া এ গ্রেফতারি পরোয়ানা অবিলম্বে তামিলের জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন মহানগর হাকিম।

মামলায় বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবছার উর রশিদ বলেন, যে ৫জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে এদের মধ্যে চারজন এজাহারভুক্ত আসামি।  বাকি একজনের বিষয়ে তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সম্পৃক্ততা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে।  পিবিআইর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৯ অক্টোবর ব্যবসায়ী মীর মঈনুল হাসান চৌধুরী আপেল আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।  মামলার আরজিতে তিনি অভিযোগ করেন, ২০১১ সালে চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের দুইটি জায়গা বন্ধক দিয়ে তিনি আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৫০ লাখ টাকা ঋণ নেন।  ঋণ দেয়ার সময় ব্যাংকের কর্মকর্তারা তার কাছ থেকে স্বাক্ষরসহ ৮টি অলিখিত চেক নেন।

প্রায় ১৫ লাখ টাকা পরিশোধের পর বাদি বাকি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২০১৪ সালের ১৫ জুলাই  চ‍ূড়ান্ত তাগাদাপত্র দেয়।  এতে বাদির কাছ থেকে সুদসহ ৩৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা পাওনা দাবি করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।  তাগাদাপত্র দেয়ার পর দুই লাখ ১৮ হাজার টাকা বাদি পরিশোধ করেন।

মামলার আরজিতে অভিযোগ করা হয়, এরপরও বিবাদিরা বাদির স্বাক্ষরযুক্ত অলিখিত ৮টি চেকের মধ্যে ২টি চেক ব্যবহার করে প্রত্যেক চেকে ৩৫ লাখ টাকা লিখে বাদির  বিরুদ্ধে আদালতে চেক প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।  একইসঙ্গে বাদির কাছ থেকে ৭৭ লাখ ৩২ হাজার ১৩২ টাকা ৬০ পয়সা দাবি করে অর্থঋণ আদালতে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।

এরপর বাদি ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।  মামলায় বাদির আনা অভিযোগ তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত।

পিবিআই তদন্ত করে এজাহারভুক্ত ছয়জনের মধ্যে চারজনের বিষয়ে অপরাধ সংঘটনের প্রমাণ পায়।  বাকি দু’জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।  এছাড়া এজাহার বহির্ভূত একজনের বিরুদ্ধেও অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পায় পিবিআই। এবং তারই ভিত্তিতে পিবিআই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।