উৎসে কর না কমায় ক্ষুদ্ধ বিজিএমইএ
বিকেএমইএ চায় বিশেষ স্কিম- বিটিএমএ চায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের উৎসে কর কমানোর মূল দাবিই বাজেটে মানা হয়নি বলে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতারা। বরং নতুন করে করের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বিনিয়োগ ও ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কায় শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
শনিবার রাজধানীর উত্তরায় বাজেটোত্তর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিকেএমইএ নেতারা পোশাক শিল্পের ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ স্কিমে সহায়তার দাবি জানান। আর বিটিএমএ চায় কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ।
দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশ যোগান দেয় পোশাক খাত। ৪৭ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির বিপরীতে ১ শতাংশ হারে উৎসে কর হিসেবে বছরে রাজস্ব আদায় হয় ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাজেট প্রস্তাবের আগে শিল্পমালিকেরা তাদের ১ শতাংশ উৎসে কর দশমিক ৫ ভাগে নামানোর দাবি জানালেও তা মানা হয়নি। বরং বন্ড লাইসেন্স ফি ও নবায়ন ফি দ্বিগুণ করা, অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানা স্থাপনে মূলধনী যন্ত্র আমদানিতে ১ ভাগ শুল্ক প্রস্তাব করা হয়েছে। পোশাকখাতে যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে দাবি শিল্পমালিকদের।
বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, ‘উৎস কর ০.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং এটিকে চূড়ান্ত করাদায় হিসেবে গণ্য করার বিষয়ে আমাদের গভীর প্রত্যাশা ছিল। এবং এখনো সেই প্রত্যাশা রয়েছে।’ সংবাদ সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণে নগদ প্রণোদনা বন্ধ করলে বিকল্প সহায়তা চালুর দাবি জানান শিল্পমালিকরা। তারা বলেন, গত ১১ মাসে রপ্তানিতে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি হয়নি। অন্যদিকে ৫৬ ভাগ মজুরি বাড়লেও পোশাকের দাম কমেছে ৮ থেকে ১৮ ভাগ।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘এখন প্রায় ৮০ শতাংশ কারখানা আইসিইউতে রয়েছে। তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে বিশেষ স্কিমের কথা বলা হয়েছে।’ বাজেটে সিনথেটিক কাপড়ের উৎপাদন উৎসাহিত করতে কাঁচামালে শুল্ক ১০ থেকে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ১ শতাংশে আনার প্রস্তাব ইতিবাচক মনে করেন উদ্যোক্তারা। তবে, সম্প্রতি জ্বালানি সংকটে সুতা ও কাপড় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘আগামী ১ মাসের মধ্যে আমরা কোনো ক্যাশ পাচ্ছি না। কিন্তু এই যে সামনে ঈদ, অর্ডারগুলো ক্যানসেল হয়ে গেছে। এমন হলে তো এগুলো সাসটেইন করবে না।এসময় জানানো হয়, পোশাক খাতের কাপড়, সুতা ও বস্ত্র তৈরিতে বছরে ১৫ মিলিয়ন কেজি ঝুট পাওয়া যায়। এটা রপ্তানির পরিবর্তে করসুবিধা দিয়ে দেশেই পুণপ্রক্রিয়াজাত করলে পাওয়া যাবে ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।