• সোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪

উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারকে তালুকদার খালেক বললেন-বিপুর জ্বালায় খুলনার সিট যাচ্ছে-


প্রকাশিত: ৩:২৯ এএম, ৬ জুন ২৩ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫১ বার

স্টাফ রিপোর্টার : দিনের বড় একটা সময় বিদ্যুৎ না থাকায় আসন্ন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। এই উদ্বেগের কথা তাঁর স্ত্রী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার জানিয়েছেন।

রোববার দুপুরে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিবুন নাহার এ কথা বলেন।
তিনি জানান, এর মধ্যে একদিন সংসদ অধিবেশন শেষে তাঁকে ফোন করেন স্বামী আবদুল খালেক। সে সময় স্বামীর সঙ্গে ফোনে কী কথা হয়েছে, তা তুলে ধরে হাবিবুন নাহার বলেন, ‘আমাকে বলেছে, “বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী, ওকে বলো, কারেন্টের যা দশা, ভোট একটাও জুটবে না।” আমি বিপু ভাইরে (বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ) সঙ্গে সঙ্গে কল দিলাম, ভাই কী দশা? আপনার জ্বালায় কিন্তু খুলনার সিট যাচ্ছে। (নসরুল হামিদ) বলেন, “কী করব? আরও ২৫ দিন এই রকম দশাই থাকবে।”’

দেশে চলমান দাবদাহে গরমে অস্থির হয়ে পড়ছে মানুষ। এর মধ্যে দিন-রাতের একটি বড় সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। গত কয়েক দিন মধ্যরাতের পর সর্বোচ্চ লোডশেডিং হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সারা দেশে, বিশেষ করে ঢাকার বাইরে বেশি হচ্ছে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও স্বীকার করেছেন, লোডশেডিং পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে পড়েছে। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি হিসেবে গ্যাস, কয়লা ও জ্বালানি তেলের জোগান দিতে সমস্যা হওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

দেশে এখন আড়াই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ধীরে ধীরে লোডশেডিং কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘প্লাস্টিক পোড়ানো থেকে বায়ু দূষণ: পরিবেশ ও আইনগত দিক’বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। সেখানে আলোচনায় বিদ্যুৎ-সংকট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এখনো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি।

উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, ‘এই যে আপনারা ফসিল ফুয়েল (জ্বীবাশ্ম জ্বালানি) নিয়ে অনেক আলোচনা করছেন। কিন্তু এটাই এখন বাংলাদেশকে, কেন পৃথিবীর অনেক দেশ, যারা কয়লা বিদ্যুতের বিরোধিতা করেছিল, এখন কিন্তু তারাই সেটা ব্যবহার করছে।’ জ্বালানি-সংকট না হলে বাংলাদেশে এখন বিদ্যুতের এই সমস্যা হতো না বলে উল্লেখ করেন তিনি।