• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

উচ্চশিক্ষায় আ’লীগ বিনিযোগ করে:হাসিনা


প্রকাশিত: ১:৫৪ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ১৮ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১৭ বার

 

ঢাবি প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ শিক্ষাখাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। এই খাতে সরকার বরাদ্দ নয়, বিনিয়োগ করে। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেগম রোকেয়া হলের নবনির্মিত ‘৭ মার্চ ভবন’ ও জাদুঘর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে কম খরচে উচ্চ শিক্ষা বাংলাদেশেই প্রদান করা হয়। তাই এর মর্যাদা ধরে রাখতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ভবনটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রোকেয়া হলের ‘৭ মার্চ ভবন’ ১১ তলাবিশিষ্ট। এ ভবনে প্রায় এক হাজার ছাত্রী আবাসন সুবিধা পাবেন। নতুন এ হল উদ্বোধনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী তরুণ শিক্ষকদের আবাসনের জন্য নির্মিত শহীদ আবুল খায়ের ভবন, এমবিএ ভবন (ইস্টার্ন উইং), চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য বঙ্গবন্ধু টাওয়ার ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের জন্য নির্মিত আবাসিক ভবনের ফলক উন্মোচন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সময়ে যত আন্দোলন হয়েছে সেটার সূতিকাগার হিসেবে আন্দোলন সংগ্রাম এগিয়ে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সব আন্দোলন সংগ্রাম এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু। বাংলা ভাষায় কথা বলা থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামের সূত্রপাত এই বিশ্ববিদ্যালয়েই।শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার উন্নয়নের জন্য আমরা সাধ্য মতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।শিক্ষা খাতে বাজেটে যে খরচ বরাদ্দ হয় সেটাকে আমরা ব্যয় বলি না, বলি বিনিয়োগ। যেটা দেশ গঠনে কাজে লাগবে।

আমরা চাই শিক্ষক যেমন শিক্ষা দিবেন শিক্ষার্থীরাও যেন উপযুক্তভাবে শিক্ষা গ্রহণ করেন। প্রত্যেকেই শিক্ষার্থীকে নজর রাখতে হবে যেন এসব ভবনের পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে।‘বাঙালিদের যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার বদভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। এছাড়া উশৃঙ্খলা কখনোই কাম্য নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। আমাদের বয়স হয়ে গেছে। সময় শেষ। এরপরের প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বড় হয়ে উঠে সেটা মাথায় রাখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় দেশের বাইরে গেলে অনেক দেশের প্রধানমন্ত্রী বা সরকারপ্রধান আমাকে প্রশ্ন করে, তোমরা এত স্বল্প সময়ে এত অর্থনৈতিক উন্নয়ন করলে কীভাবে? অন্যান্য দেশের সরকার তো পারে না। তোমাদের ম্যাজিকটা কী? আমি বলি, আমরা একটা আদর্শ নিয়ে কাজ করি। কী করলে মানুষ ভালো থাকবে, তাদের উন্নতি হবে আমরা তা ভেবে কাজ করি। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করি বলেই আজ দেশ এভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।