ঈদ নাশকতা প্রতিরোধে বায়তুল মোকাররমের ভেতরে সেনা মোতায়েন
এস রহমান : গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার জের ধরে যে কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ভেতরে সশস্ত্র সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।এছাড়া বায়তুল মোকাররমের বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যকে। তাদের তল্লাশি শেষেই মুসল্লিরা মসজিদটিতে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বায়তুল মোকাররমে জোহর নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের তল্লাশি করছে পুলিশ। এরপর মসজিদের ভেতরে প্রবেশের সময় দরজার মুখেই মুসল্লিদের আরেক দফা তল্লাশি করছেন সশস্ত্র সেনা সদস্যরা।
বায়তুল মোকাররমের এই অভূতপূর্ব নিরাপত্তার ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করলে পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জাতিরকন্ঠকে জানান, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে জাতীয় মসজিদে পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের সর্বশেষ জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। জামায়াত সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সেনা সদস্যরা বায়তুল মোকাররমের ভেতরে দায়িত্ব পালন করবেন।এদিকে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১ লাখ ২০ হাজার পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে ব্যাপক সংখ্যক র্যাব সদস্যকে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেন, সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বিশেষত কূটনৈতিক এলাকা, বিমানবন্দর, শপিংমল এবং ভিআইপি এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় একদল অস্ত্রধারী জঙ্গি; দেশী-বিদেশঅ অন্তত ৩৩ জন সেখানে জিম্মি হন।হামলাকারীদের ঠেকাতে গিয়ে বোমায় নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযান চালিয়ে পরের দিন শনিবার ওই রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্রবাহিনী। ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ২০ জনের লাশ পাওয়া যায় জবাই করা অবস্থায়।নিহতদের মধ্যে নয়জন ইটালির, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক৷ বাকি তিনজন বাংলাদেশী, যাদের মধ্যে একজনের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ছিল৷