• সোমবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৪

ঈদের আগে ২৩ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের চাকরী খতম


প্রকাশিত: ৪:১১ পিএম, ১২ জুন ১৭ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৩ বার

হাইকোর্ট রিপোর্টার :  ঈদের আগে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য 123দায়িত্বরত ২৩ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের খতম করা হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন ২৭ জনকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে সাম্প্রতিককালে একসঙ্গে এত বেশি কর্মীকে বাদ দেয়া বা নিয়োগ দেয়ার ঘটনা ঘটেনি।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সলিসিটর রঞ্জন কুমার সাহা স্বাক্ষরিত দুটি আলাদা প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। আইনমন্ত্রণালয় থেকে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।এসব সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে কেন অব্যাহতি দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।

একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নিম্ন ছকে বর্ণিত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলগণের নিয়োগাদেশ বাতিলক্রম বর্তমান পদ হতে তাদের অব্যাহতি প্রদান করা হলো। নাম না প্রকাশের শর্তে মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, এসব আইন কর্মকর্তাদের বিগত দিনের কর্মদক্ষতা সন্তোষজনক না হওয়ায় তাদেরকে এই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

অব্যাহতি পাওয়া খোন্দকার মোদাররেস এলাহী ‍তিরু জানান, তাদেরকে অফিস থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে কেন এই সিদ্ধান্ত সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে তাদেরকে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে নিয়োগ দেয়া হয়। ওই বছর সরকার বদলের পর শতাধিক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়োগ দেয়া হয়। সেই থেকে টানা সাড়ে আট বছর ধরে তারা দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। একসঙ্গে এতজন আইন কর্মকর্তার বদলের আদেশ কখনও হয়েছে কি না, সেটা তিনি মনে করতে পারেননি।

আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তাদের অবসরের বয়স সীমা নেই। কতদিন তারা পদে থাকবেন, সেটাও নির্দিষ্ট নয়। সাধারণ সরকার বদল হলে অ্যাটর্নি জেনারেলে অফিসেও বদল আসে। সরকারপন্থিরাই সচরাচর এই পদগুলোতে নিয়োগ পান। অব্যাহতি পাওয়া নওয়াজিশ আরা বেগমের কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আমি জেনেছি। তবে এ নিয়ে এখন কিছু বলতে চাই না।’

যারা অব্যাহতি পেয়েছেন

অব্যাহতি পাওয়া ২৩ জন হলেন: সাধন কুমার বনিক, দেলোয়ারা বেগম বেলা, ইয়াদিয়া জামান, মোছা. আনোয়ারা খানম, বিলকিছ ফাতেমা, মতিউর রহমান হাওলাদার, আব্দুল বারী, নুরুল হক, মনোয়ার হোসেন, আব্দুর রহমান হাওলাদার, বাহাউদ্দিন আহাম্মেদ, তৌহিদা খাতুন (রিনা), আবু সালেহ মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী খান, মোহাম্মদ জাবের, মোজাম্মেল হক রানা, খন্দকার মোদাররেস এলাহী (তিরু), মিয়া সিরাজুল ইসলাম, এস এম আসাদুল্লাহ তারেক, শহীদুল ইসলাম খান, এ বি এম মাহবুব, মামুনুর রশিদ, সোয়েব খান এবং নওয়াজিশ আরা বেগম।

নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ২৭ জন

রাষ্ট্রপতির আদেশে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তারা হলেন সৈয়দা সাবিনা আহম্মেদ (মলি), আফিফা বেগম, আনিচ-উল মাওয়া আরজু, সাইরা ফাইরজ, হেলেনা বেগম (চায়না), মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, লাকী বেগম, মোহাম্মদ শফিকুজ্জামান, মিজানুর রহমান খান, মোহাম্মদ আকতার হোসেন, সৈয়দ বশির হোসেন চৌধুরী, নুসরাত জাহান, আবুল কালাম খান (দাউদ), সন্ধ্যা ঘোষ, নাসিম ইসলাম, মজিবুর রহমান, আশরাফ উদ্দিন খান, মেহেদেী হাসান, নিরমল কুমার দাস, জাহির আহম্মেদ, সাথী শাহাজাহান, জাকির হোসেন, আইরিন জাহান, প্রহলাদ দেবনাথ, আবুল হোসেন মো. জিয়াউদ্দিন, আশিক রুবাইয়াত এবং নাজিমুল ইসলাম (রাজু)।