ঈদের অগ্রিম টিকিট-প্রথম দিনেই ভুয়া বুকিং কারসাজি
সাইফুল বারী মাসুম : ঈদে বাস-ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনেই কারসাজি শুরু হয়েছে। ভিন্ন নামে টিকিট বুক রেখে ফায়দা নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ঠরা। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন বাসের টিকিট মিললেও ট্রেনের টিকিটে চলছে ভুয়া বুকিং কারসাজি।
কমলাপুর রেল স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, প্রথমদিনের টিকিট বিক্রিতে দুপুর সোয়া বারোটার ভেতরই চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ ও তূর্ণা এক্সপ্রেসের টিকিট শেষ হয়ে যায়। সেগুনবাগিচা থেকে আসা সিরাজুল ইসলাম জানান, তিনি সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে সুবর্ণ এক্সপ্রেসের টিকিট কাটতে পারেননি।
পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকার কমলাপুর ও চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। আর সকাল থেকেই বাসের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল ছাড়াও কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল, শ্যামলী, কলেজ গেট, মালিবাগ, সায়েদাবাদ, মহাখালীসহ বিভিন্ন স্থানের কাউন্টারে।
সকাল থেকে বিভিন্ন টিকিট কাউন্টার ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঈদে বাড়িফেরার জন্য অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ শুরু করেছেন রাজধানীর অনেক মানুষ। যাত্রীদের সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি বাস কাউন্টারের সামনে টানানো হয়েছে শামিয়ানা। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করে টিকিট সংগ্রহে আসা মানুষের লাইন শামিয়ানা ছাড়িয়ে গেছে। এদিকে কাউন্টারগুলোতে নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাসের টিকিট বিক্রির বিষয়ে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও হানিফ পরিবহনের মালিক কফিল উদ্দিন বলেন, আমাদের সংগঠনের আওতায় দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে চলাচলকারী বাসের টিকিট বিক্রি শুরু করছি। তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত হারে ভাড়া নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে কমলাপুর রেল স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, প্রথমদিনের টিকিট বিক্রিতে দুপুর সোয়া বারোটার ভেতরই চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ ও তূর্ণা এক্সপ্রেসের টিকিট শেষ হয়ে যায়। সেগুনবাগিচা থেকে আসা সিরাজুল ইসলাম জানান, তিনি সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে সুবর্ণ এক্সপ্রেসের টিকিট কাটতে পারেননি।
একই সঙ্গে আরও ৪-৫ জন অভিযোগ করেন দুপুর সোয়া বারোটার দিকে সুবর্ণ ট্রেনের টিকিট বিক্রি কাউন্টার থেকে বলা হয় টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। এসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অনেকেই কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের টিকিট কাটতে পারেননি।
রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, অগ্রিম টিকিট কেউ পাচ্ছেন না এ কথাটা ঠিক নয়। কারণ আমরা নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকিট বিক্রি করি। নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরে কাউকে টিকিট দেয়া তো সম্ভব নয়।
তিনি জানান, প্রতিদিন ২৩টি কাউন্টার থেকে ৩১টি আন্তঃনগরসহ লোকাল কমিউটর ট্রেন মিলিয়ে মোট ৫৫ হাজার টিকিট বিক্রি হচ্ছে।আগামীকাল ১৩ জুন ২২ জুনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। আর ১৪, ১৫ ও ১৬ জুন বিক্রি হবে যথাক্রমে ২৩, ২৪ ও ২৫ জুনের অগ্রিম টিকিট।
এদিকে ১৫ জুন থেকে শুরু হচ্ছে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। আর লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস শুরু ১৯ জুন থেকে। এবার টার্মিনাল ভবনের কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে লঞ্চে ওঠার বিধান করা হয়েছে। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, ২২, ২৩ ও ২৪ জুনের টিকিটের চাহিদা বেশি।