ইয়াবা তৌফিকের ধনী হওয়ার মিশন
মারুফ হোসেন : দ্রুত ধনী হতে চেয়েছিল ইয়াবা ব্যবসায়ী তৌফিকুর রহমান তৌফিক (৩৫)। এলক্ষ্যে সে আন্তঃজেলা ইয়াবা সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়ে। পাচার করতে থাকে বড় বড় ইয়াবার চালান। মোটা অংকের টাকা হাতে পেয়ে সে শুরু করে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা। এই ব্যবসার আড়ালে আরো জোরদারভাবে চালিয়ে যাচ্ছিল ইয়াবা সিন্ডিকেট।
কালো টাকার জোরে রাজধানী ঢাকার খিলগাঁওয়ে ক্রিস্টাল ইলেকট্রনিক্স নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও চালু করে সে। ইতিমধ্যে সে গাড়ির’ও মালিক বনেছে। আন্তঃজেলা ইয়াবা সিন্ডিকেটের বড় আড়ত গড়ে তুলে টাঙ্গাইলে। একপর্যায়ে পুলিশের নজরদারিতে পড়ে যায় তৌফিক। পুলিশ ফাঁদ পেতে বসে। একপর্যায়ে রবিবার রাতে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে ইয়াবার চালানসহ ধরা পড়ে তৌফিক।
গাইবান্ধা জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) রেজিনূর রহমান জাতিরকন্ঠ কে জানান, আসলে বেশ কিছুদিন ধরে আমরা নজরদারি করছিলাম আন্তঃজেলা ইয়াবা সিন্ডিকেট এর ওপর। নজরদারির কারণেই তৌফিককে আমরা সনাক্ত করতে সক্ষম হই। এরপর সোর্স নিয়োগ করে হাতেনাতে পাকরাও করি তৌফিককে।
জিজ্ঞাসাবাদে তৌফিক জানায়, ইয়াবা ব্যবসা করে দ্রুত ধনী হতে চেয়েছিল সে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা মোঃ মজিবুর রহমান পিপিএম জানান, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) রেজিনূর রহমানের নির্দেশে এই আন্তঃজেলা ইয়াবা সিন্ডিকেট চক্রটিকে তাঁরা নজরদারি করছিলেন। সোর্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে রবিবার রাত ৮ টায় গোবিন্দগঞ্জ থানার এস আই মুসা, এস আই হাবিবুল বাহার হাবিব সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালালে তৌফিক ধরা পড়ে।
অভিযানে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চাপরিগঞ্জ এলাকায় ঢাকা- রংপুর মহাসড়কে একটি কার (ঢাকা মেট্টো গ- ২৯-১১১৪) থামিয়ে সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিকে তল্লাসি করা হয়। তল্লাসিকালে তৌফিকুর রহমান তৌফিকের (৩৫) নিকট থেকে ১২’শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় তার কাছে থাকা ইয়াবা বিক্রির নগদ ৭১ হাজার ৫ শত টাকাসহ গ্রেফতার করা হয় তৌফিককে।
পরে বহনকারী রেন্ট এ কারটি আটক করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত তৌফিক টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইলের কাইতকাই গ্রামের তোইবুর রহমান ছেলে। তার পিতা একজন ওয়ারেন্ট অফিসার। গ্রেফতারকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।