• রোববার , ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ইসলামী ব্যাংক রাহু মুক্ত হচ্ছে!


প্রকাশিত: ১০:২০ পিএম, ১৯ আগস্ট ২৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭১ বার


৬ ডিএমডিসহ শীর্ষ আট কর্মকর্তা বরখাস্ত-

 

 

স্টাফ রিপোর্টার : লুটেরা এস আলম এর কবল থেকে রাহু মুক্ত করতে অভিযান চলছে ইসলামি ব্যাংকে। এ পর্যায়ে প্রথম ধাপে ইসলামী ব্যাংকের ৬ ডিএমডিসহ শীর্ষ আট কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তরা হলেন- অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে কিউ এম হাবীবুল্লাহ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. আকিজ উদ্দিন, মোহাম্মদ সাব্বির, মিফতাহ উদ্দিন, মো. রেজাউল করিম, ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া, প্রধান অর্থ পাচার প্রতিরোধ কর্মকর্তা (ক্যামেলকো) তাহের আহমেদ চৌধুরী এবং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল মো. নজরুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে।এস আলম গ্রুপের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত ইসলামী ব্যাংকের ছয় ডিএমডিসহ আট জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়।

বরখাস্তরা হলেন- অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে কিউ এম হাবীবুল্লাহ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. আকিজ উদ্দিন, মোহাম্মদ সাব্বির, মিফতাহ উদ্দিন, মো. রেজাউল করিম, ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া, প্রধান অর্থ পাচার প্রতিরোধ কর্মকর্তা (ক্যামেলকো) তাহের আহমেদ চৌধুরী এবং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল মো. নজরুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা প্রায় ১৬ বছর আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। সরকারের পতনের পর এস আলম গ্রুপ ব্যাংক থেকে অর্থ সরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এমন সময় ব্যাংক থেকে কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একদিনেই ৮৮৯ কোটি টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করা হয়। তবে ব্যাংকের কর্মকর্তারা তা জানতে পেরে এসব লেনদেন আটকে দেন। অর্থ তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছিল গোল্ডেন স্টার ও টপ টেন ট্রেডিং হাউজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান।

অন্যদিকে সরকার পতনের পর থেকে ব্যাংকটিকে ‘এস আলম ও পটিয়া মুক্ত’ করার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা। তারা ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি ঋণ বিতরণে অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকটিতে যেতে পারছেন না এস আলমপন্থী কর্মকর্তারা। তবে গতকাল রোববার ও আজ সোমবার অফিসে যান ব্যাংকটির এমডি মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। এরপরই তাদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়।