লাবণ্য মুখোপাধ্যায়.কলকাতা:
ইন্ডিযায় জেএমবি’র কিলিং মিশন তদন্ত করতে গিয়ে ফাঁস হয়েছে বাংলাদেশের টার্গেট হাসিনা-খালেদার নাম। ভারতীয় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত জঙ্গিরা বলেছে তাদের নানা টার্গেট। এই টার্গেটের সূত্র ধরে জঙ্গিরা বলেছে বাংলাদেশের হাসিনা খালেদার নাম।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান বিস্ফোরণ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক জঙ্গির স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের আসাম রাজ্যের পুলিশ। ওই নারীর নাম সুজিনা বেগম ওরফে সিরজিয়া বানু। এ সময় তাঁর সঙ্গে দেড় বছরের এক শিশু ছিল।
ভারতের পুলিশের ভাষ্য, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যা করে শরিয়তি আইন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সুজিনা পশ্চিমবঙ্গের একটি মাদ্রাসায় আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নেন।
আসাম পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গুয়াহাটির আন্তবাস টার্মিনাল থেকে সুজিনাকে (৩১) গ্রেপ্তার করা হয়।
তাঁর স্বামী শাহানুর আলম বর্ধমানে বিস্ফোরণের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। তিনি স্বামীর সঙ্গে আসামের বরপেটা জেলায় একটি বাড়িতে থাকতেন। তাঁরা দুজনই বাংলাদেশি।
ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনায় সম্প্রতি ১২ জনকে গ্রেপ্তারে পুরস্কার ঘোষণা করে যে তালিকা প্রকাশ করে, তাতে সুজিনার স্বামী শাহানুরের নামও ছিল। পুলিশের সন্দেহ, সুজিনা স্বামীর কাছে যাচ্ছিলেন। শাহানুরকে গ্রেপ্তারে এনআইএ ও সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) যৌথ অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে বরপেটার সেই বাড়িতেও একাধিকবার অভিযান চালানো হয়। শাহানুরকে ধরতে পাঁচ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
এনআইএর দাবি, পুরস্কারঘোষিত ১২ জনের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি।
বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন সাজিদকে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাজিদ বাংলাদেশের নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য। এর আগে তাঁকে গ্রেপ্তারে এনআইএর পক্ষ থেকে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
সাজিদকে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতে জেএমবির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলার একটি মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করেই জঙ্গি তৎপরতা চালাতেন বলে দাবি করেছে এনআইএ।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ জানিয়েছে, তাঁকে দুই দিন আগে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে কোথায় ও কীভাবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলো, এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
খবরে আরও বলা হয়, জিয়াউল হক নামের জেএমবির আরেক সদস্যকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে আসামের পুলিশ।
গত ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুজন নিহত হয়। নিহত শাকিল আহমেদ ও সুবহান মণ্ডল জেএমবির সদস্য বলে পুলিশের দাবি।