• শুক্রবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ইকবাল সোবহানের বিরুদ্ধে মামলা করলেন নিজাম হাজারী


প্রকাশিত: ১১:৫৯ পিএম, ২৯ জানুয়ারী ১৭ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮১ বার

ফেনী প্রতিনিধি :  ফেনীর মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা 11ও ইংরেজি দৈনিক অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন ফেনী-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী।রোববার বেলা ১১টায় মানহানির মামলা করেন তিনি। মামলায় একই পত্রিকার সাংবাদিক মামুনুর রশিদ ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর পক্ষে আইনজীবী আনোয়ারুল করিম ফারুক জানান, ফেনীর মূখ্য বিচারিক মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করেছেন। তবে তাৎক্ষনিকভাবে কোনো আদেশ দেননি, আদেশ পরে দেওয়া হবে।

মামলার আরজিতে বলা হয়, মামলার বাদী নিজাম উদ্দিন হাজারী একজন সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বাদির জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তার সুনাম ক্ষুন্ন ও জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার হীন মানসিকতায় দৈনিক অবজারভার পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় গত ২৩ জানুয়ারি একটি সংবাদ প্রকাশ করে।

এতে ‘মাদক সম্রাটদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আদেশের অপেক্ষায় পুলিশ’ শিরোনাম দেওয়া হয়। ওই সংবাদে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি কক্সবাজারের আবদুর রহমান বদি, নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমান, ফেনীর নিজাম উদ্দিন হাজারী, রাজশাহীর এনামুল হক দেশে ড্রাগ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেনীতে সরকার দলীয় এমপি জেলা ও বর্ডার এলাকার মাদক ব্যবসার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য নিজ দলীয় নেতা ও ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামকে হত্যা ও তাকে গাড়ীতে জীবিত পুড়িয়ে ফেলে মর্মে মিথ্য অপপ্রচারের সংবাদ ছাপাইয়া প্রচার করে। প্রকৃত পক্ষে একরাম হত্যা মামলার জড়িত বিএনপি দলীয় সন্ত্রাসীসহ ১৬ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে-যার মধ্যে বাদীর (নিজাম হাজারী) নাম ছিল না। এমনকি ওই মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্রেও বাদীর নাম ছিল না।

শুধুমাত্র বাদীর (নিজাম হাজারী) সুনাম ক্ষুন্ন, রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করার হীন প্রয়াসে মাদক ব্যবসা ও একরাম হত্যার ঘটনার সাথে তার নাম জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। এতে বাদীর ১০ কোটি টাকার মানহানি ও ক্ষতি সাধন করেছে।বাদী তার বিবাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ যথাযথ আদেশ প্রার্থনা করেন। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কোনো আদেশ দেয়নি আদালত।