ইউসিবি’র এটিএম জালিয়াতদের গডফাদার সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা
এস রহমান : ইউসিবি ব্যাংকের এটিএম জালিয়াতির তদন্তে কেঁচো খুড়তে শাপ বেরিয়ে যাচ্ছে। সূত্রমতে, এটিএম পাঞ্চ মেশিন বিক্রির সূত্র ধরে ধরা পড়েছে জালিয়াতদের গডফাদার সিটি ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে সিটি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ঠ শাখার এক রাঘববোয়াল এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে।ওই কর্মকর্তা জার্মাানির নাগরিক পিটার মোরশেদ গংদের সকল অপকর্মের হোতা।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, পিটারকে গ্রেফতার করার পর পরই তার সহযোগীদের ধরা সম্ভব হয়। পিটারের সহযোগী সিটি ব্যাংকের কার্ড ডিভিশন এর মার্চেন্ট ব্যাংকিং কর্মকর্তরা হচ্ছে, মোরশেদ আলম মাকসুদ, রেজাউল করিম ও রিয়াজ আহমেদ।
এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত সিটি ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা এখন গোয়েন্দাদের হেফাজতে। গ্রেফতারকৃত সিটি ব্যাংকের এই তিন কর্মকর্তা হলেন, মোরশেদ আলম মাকসুদ, রেজাউল করিম ও রিয়াজ আহমেদ।
পিটারের সহযোগী সিটি ব্যংকের এই তিন কর্মকর্তা একাধিক এটিএম কার্ড জালিয়াতি ঘটনায় জড়িত রয়েছে বলে গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন । সিটি ব্যাংকের কার্ড ডিভিশনের প্রধান মাজহারুল ইসলাম জাতিরকন্ঠকে জানান, গ্রেফতারকৃতরা মাচেন্ট ব্যাংকিং এর সঙ্গে জড়িত।
ওদিকে গ্রেফতারকৃতদের নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশ। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে ইতিমধ্যে এদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জাতিরকন্ঠকে জানায়, ব্যাংকের এটিএম বুথে কার্ড জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথমে থমাস পিটার কে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার তথ্য ও জিজ্ঞাসাবাদে সিটি ব্যাংকের আরও তিন কর্মকর্তার যোগসাজশ পাওয়া যায়।
রোববার রাতভর অভিযান চালিয়ে সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা মোরশেদ আলম মাকসুদ, রেজাউল করিম ও রিয়াজ আহমেদকে পাকরাও করা হয়।রাতেই তাদের নেয়া গোয়েন্দা কার্যালয়ে। সেখানে উর্ধ্বতণ কর্মকর্তারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, পিটারের তথ্যর ভিত্তিতে রোববার রাতেই অভিযান চালানো হয় সিটি ব্যাংকের তিন কর্মকর্তার বাসায়। পরে তাদের আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় নেয়া হয়।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, থমাস পিটার জার্মানির নাগরিক। তাঁর পোল্যান্ডের পাসপোর্ট রয়েছে। আটক হওয়া তিন ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন মোরশেদ আলম মাকসুদ, রেজাউল করিম ও রিয়াজ আহমেদ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ইউসিবি কর্তৃপক্ষ বনানী থানায় মামলা করে এজাহারের সঙ্গে সিসিটিভির ভিডিও জমা দেয়া হয়। ওই বিদেশি যাতে বাংলাদেশ থেকে পালাতে না পারে, সেজন্য বিমান, নৌ ও স্থলবন্দরগুলোতে নজরদারি চালাতে অনুরোধ করা হয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে।