• শুক্রবার , ৩ মে ২০২৪

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসির রোডম্যাপ জানতে চায়


প্রকাশিত: ২:৩৮ এএম, ১২ জুলাই ২৩ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৯ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : নির্বাচন কমিশনের কাছে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল। সেই সাথে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপ সম্পর্কেও জানতে আগ্রহী তারা।মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং আরও দুই নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন সফররত ইইউ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বৈঠকে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং প্রতিনিধিদলের প্রধান চ্যালেরি চ্যালেরি রিকার্ডো সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হননি তিনি। পরে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বৈঠকের বিভিন্ন দিক নিয়ে সাংকাদিকদের সাথে কথা বলেন।
অশোক দেবনাথ জানান, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে আগের ভোটগুলো নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তারা। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিদেশি দাতা সংস্থাগুলোর পযর্বেক্ষকদের আনাগোনা বেড়ে যায়। আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এর ব্যতিক্রম হবে না।যদিও গেল সংসদ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য কোন সংস্থাই কোন পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। তবে, এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। নির্বাচনের মাস পাঁচেক আগে থেকেই তোড়জোড় শুরু করে বিদেশি সংস্থাগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশনের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধি দল দেখা করে।

ঘণ্টাখানেক বৈঠক শেষে অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিং-এ প্রতিনিধি দলের প্রধান চ্যালেরি রিকার্ডো জানান, এখনই কোন মন্তব্য করতে রাজি নন তারা। তবে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তারা।দলটির সাথে কমিশনের আবারো বৈঠক হবে বলে জানান এই সচিব। এর আগে সকালে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সাথে বৈঠক করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই প্রতিনিধি দল।

আসন্ন এ জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয় সদস্যের অনুসন্ধানী অগ্রগামী দল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকার ইইউ মিশন জানিয়েছে, ৮ থেকে ২৩ জুলাই এ সফরে মূল নিবার্চন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিক্স ও নিরাপত্তা– ইত্যাদি বিষয় মূল্যায়ন করবে এই মিশন।