• শনিবার , ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

গৌরবের বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড


প্রকাশিত: ১২:৩০ এএম, ১৫ জুলাই ১৯ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২৯ বার

 

ইংল্যান্ড থেকে ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান : টান টান উত্তেজনায় বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড; হার মানলো নিউজিল্যান্ড। এবারই প্রথম সুপার ওভারে বিশ্বকাপ ফাইনালে গড়াল। প্রথম সুপার ওভাবে ইংল্যান্ড প্রথম ব্যাটিং করে। এই উত্তেজনাপূর্ণ সুপার ওভারে ইংল্যান্ড করেছে ১৫ রান। এবার নিউজিল্যান্ড কে বিশ্বকাপ জিতলে হলে করতে হবে ১৬ রান। ৬ বলে তাদের এই রান করতে হবে।

এমন ফাইনালের অপেক্ষাতেই তো ছিল বিশ্ববাসী। শেষ ওভারের লাস্ট বলের আগেও বোঝা যাচ্ছিল না কে জিতবে।এর আগে ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ দিকে এ ধরনের একটু উত্তেজনা দেখা দিয়ে ছিল। এরপর বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল গুলো ছিল প্রায় একপেশে লড়াই এর মতো। ম্যাচ শেষ হওয়ার বহু আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল সব উত্তেজনা। কিন্তু আজ সোমবার রাতটা ছিল শুধুই ইংল্যান্ড এর। এজন্য সব বাহবা পেতে পারে বাটলার ও স্টোকস।

নিয়ম অনুযায়ী পরে ব্যাটিং করা দল সুপার ওভারে শুরুতে ব্যাটিং করে। দারুণ ইনিংস খেলা বাটলার এবং স্টোকসকে নামায় ইংল্যান্ড। তারা ট্রেন্ট বোল্টের ওভারে তোলেন ১৫ রান। নিউজিল্যান্ডও তোলে ১৫ রান। তারা ব্যাটিংয়ে নামায় গাপটিল এবং জেমি নিশামকে। আর্চারের বলে নিতে পারে ঠিক ১৫ রান। এতে নক কাঁটা, দম বন্ধ করা ম্যাচ টাই হয়। ফুটবলের সুবাদে বিশ্বকাপ ফাইনালে টাই দেখার ভাগ্য হয়েছে অনেকের। কিন্তু ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল প্রথম টাই। আবার সুপার ওভারের দম ফাঁটা উচ্ছ্বাস। তাতেও টাই হয় ম্যাচ।

কিন্তু তবু বাটলার কেন অত আনন্দে ছুটে বেড়াতে লাগলেন, কেন পুরো ইংল্যান্ড দল ওভাবে পাগলের মতো ছুটতে লাগল? কারণ, সুপার ওভারের নিয়ম-যদি দুই দল সমান রান করে তখন বাউন্ডারির হিসাব চলে আসে। মূল ম্যাচ ও সুপার ওভার মিলিয়ে যে দল সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারবে তারাই জিতবে সুপার ওভার। সেখানে যদি দুই দলে সমতা থাকে তখন দেখা হবে সুপার ওভারে কারা বাউন্ডারি বেশি মেরেছে তার। নিউজিল্যান্ড মূল ইনিংসে ১৬টি বাউন্ডারি মেরেছিল। আর ইংল্যান্ড মেরেছিল ২৪টি। ফলে সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ড যত বাউন্ডারিই মারুক না কেন ইংল্যান্ডকে টপকাতে পারত না তারা। আর তাতেই মহা নাটকীয় এক ম্যাচ শেষে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়।

এর আগে অস্ট্রেলিয়া ১৯৮৭ বিশ্বকাপে ২৫৩ রান করে ইংলিশদের আটকে দেয়। ১৯৯২’র আসরে পাকিস্তান পোমসদের আটকে দেয় ২৪৯ রান করে। কিউইরাও এবার তেমনই রান করেছে। লক্ষ্য দিয়েছে ২৪২। এরপর বল হাতে কাঁপন তুলেছে ইংলিশ শিবিরে। জেসন রয় শুরুতে ফিরে যান। উইকেটে ধুঁকতে ধুঁকতে ফেরেন জো রুট। এরপর দলকে ভরসা দেওয়া বেয়ারস্টোর পর ইয়ন মরগানও আউট হয়েছেন। এরপর স্টোকস-বাটলারে স্বপ্ন দেখছিল ইংল্যান্ড। তবে বাটলার দারুণ এক ইনিংস খেলে ফিরেছেন। শেষ ওভারে ম্যাচ টাই হলে সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ।

ইংল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৪১ করে অলআউট হয়েছে। জনি বেয়ারস্টো ৩৬ রানে আউট হয়েছেন। জেসন রয় আাউট হয়ে ফিরে গেছেন ১৭ রান করে। জো রুট করতে পারেন ৩০ বলে ৭ রান। ক্রিজে থাকা অধিনায়ক ইয়ন মরগান ৯ রান করেছেন। জস বাটলার ৫৯ রানে ফিরেছেন। বেন স্টোকস ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। লকি ফার্গুসন তার আগে ভাঙেন ১১০ রানের জুটি।

লর্ডসে শুরুতে বল করা নিউজিল্যান্ড ২৯ রানে প্রথম উইকেট হারায়। শুরুর ধাক্কা তারা সামাল দেন কেন উইলিয়ামসন এবং হেনরি নিকোলাসের ৭৪ রানের জুটিতে। নিকোলাস খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। উইলিয়ামসন করেন ৩০ রান। এরপর পথ হারায় কিউইরা। টম ল্যাথাম ৪৭ রান করলে পরে মাঝারি রানের ওই পুঁজি পায় কিউইরা।রস টেইলর আম্পায়ারের ভুল লেগ বিফোরের সিদ্ধান্তে ১৫ রান করে আউট হন। জিমি নিশাম করেন ১৯ রান। দলের হয়ে ১৬ রান করেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস এবং লিয়াম প্লাঙ্কেট নেন তিনটি করে উইকেট।