আ’ লীগের ভান্ডারে ২৫ কোটি টাকা
বিশেষ প্রতিনিধি : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভান্ডারে এখন ২৫ কোটি টাকা। নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া ২০১৬ সালের আয়-ব্যয়ের তথ্যে পাওয়া গেছে, বর্তমানে দলটির ভান্ডারে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ রয়েছে ২৫ কোটি ১১ হাজার ৪৪১ টাকা।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড.আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল যায় আগারগাঁওস্থ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে। সেখানেই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা দেওয়া হয়। আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হিসাব অনুযায়ী গত বছরে (২০১৬ সাল) দলটির খরচের চেয়ে আয় বেশি হয়েছে এক কোটি ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৮ টাকা। তবে গত তিন বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে দলের উদ্বৃত্ত। আগের বছরের তুলনায় এবারও এক কোটি ৯০ লাখ ২২ হাজার ১৭১ টাকা নিট আয় কমেছে আওয়ামী লীগের।
জমা দেওয়া হিসাব অনুযায়ী: ২০১৬ সালে দলটির আয় হয়েছে চার কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭ টাকা। একই সময়ে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৯ টাকা। এ বছরে দলটির তহবিলে অতিরিক্ত রয়েছে এক কোটি ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৯ টাকা।
আয়-ব্যয়ের হিসেব ইসির কাছে জমা দেওয়ার পর ড. আবদুর রাজ্জাক অর্থের উৎস সম্পর্কে কদের বলেন, ‘গত অর্থবছরে আওয়ামী লীগের দলটির আয় ছিল চার কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭ টাকা। আয়ের উৎস হিসেবে দেখানো হয়েছে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের চাঁদা। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পত্র বিক্রির অর্থ, শুভানুধ্যায়ীদের অনুদান। এর আগে ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালেও আওয়ামী লীগের আয় কমেছিল এক কোটি ৮৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৬৩ টাকা।
২০১৫ সালে দলের আয় দেখানো হয় সাত কোটি ১১ লাখ ৫১ হাজার ৩৭৫ টাকা। আর ব্যয় দেখানো হয় তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭৯ হাজার ৯০৬ টাকা। অর্থাৎ ওই বছর ব্যয়ের চেয়ে আয় বেশি ছিল তিন কোটি ৭২ লাখ ৭১ হাজার ৪৬৯ টাকা।
২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের আয় ছিল নয় কোটি পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৩ টাকা, আর ব্যয় ছিল তিন কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ৮২১ টাকা। আর গত বছর দলটির তহবিলে উদ্বৃত্ত ছিল পাঁচ কোটি ৬১ লাখ চার হাজার ৮৩২ টাকা।অর্থাৎ ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের আয় কমে এক কোটি ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৭৮ টাকা। আর এই সময়ে আগের বছরের তুলনায় ব্যয় কমেছে পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ৯১৫ টাকা।