• রোববার , ১৭ নভেম্বর ২০২৪

আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলা’য় ১১ আসামির খালাসের রায় স্থগিত


প্রকাশিত: ১২:০৭ পিএম, ২১ জুন ১৬ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪২ বার

হাইকোর্ট রিপোর্টার   :   আওয়ামী লীগের নেতা ও গাজীপুরের সাবেক সাংসদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ahsanullah_muster-www.jatirkhantha.com.bdহত্যা মামলায় ১১ আসামিকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের করা এই আপিল আবেদন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে আগামী ১৪ জুলাই শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন জাতিরকন্ঠকে বলেন, ১৪ জুলাই আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে। গত বুধবার আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় বিএনপির নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ।

নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাত আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাত আসামি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ও হাইকোর্টে খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর ওরফে বড় জাহাঙ্গীর, ফয়সাল (পলাতক), রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির (পলাতক), খোকন (পলাতক), লোকমান হোসেন ওরফে বুলু (পলাতক) ও দুলাল মিয়া (পলাতক)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে খালাস পান মনির, রকিব উদ্দিন সরকার ওরফে পাপ্পু, আইয়ুব আলী ও জাহাঙ্গীর।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সমাবেশে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় তৎকালীন সাংসদ আহসান উল্লাহ মাস্টারকে। সেদিন নিহত হন ওমর ফারুক রতন নামের আরেক ব্যক্তি।