আলাদিনের চেরাগ ডিআইজি রফিকুল-পদ-পদবি ব্যবহার করে দু’হাতে কামান অর্থ-এখন তিনি শত কোটিপতি-দুদক
বিশেষ প্রতিনিধি.ঢাকা: সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) রফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রোববার বিকেলে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে দুদকের উপপরিচালক মো. হামিদুল হাসান তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল ১৭ ডিসেম্বর।
রফিকুল ইসলাম পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ডিআইজি (প্রটেকশন) হিসেবে চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি চাকরিতে যোগ দেন ১৯৮৬ সালে।
দুদক সূত্র জানায়, চাকরিতে থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। নামে-বেনামে থাকা সম্পদ তাঁর আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
সূত্রটি জানায়, চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় রফিকুল ইসলামের ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া বাজারে সরকারি খাসজমিতে একটি টিনশেড বাড়ি ছাড়া কিছু ছিল না। অথচ চাকরিজীবনে তিনি শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে তিনটি বিলাসবহুল বাড়ি, যার দাম ছয় কোটি টাকা। সম্প্রতি নতুন করে উত্তরায় প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। পরিবারের সদস্যরা এক কোটি টাকা মূল্যের দুটি দামি গাড়ি ব্যবহার করেন। স্ত্রী শিরীন আক্তারের নামে ফুলবাড়িয়া দক্ষিণপাড়ায় আট বিঘা জমি কিনেছেন, যার মূল্য প্রায় ছয় কোটি টাকা।
তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক থেকে বেরিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সব অভিযোগ ‘ডাহা মিথ্যা’ বলে দাবি করেন রফিকুল ইসলাম।