• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আরও জার্মান বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর


প্রকাশিত: ৭:১২ পিএম, ২৯ এপ্রিল ১৪ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১৩ বার

নিজস্ব প্রতিবেদক: আপডেট: ১৬:৩২, এপ্রিল ২৯, ২০১৪:
পাঁচ সদস্যের জার্মান সংসদীয় প্রতিনিধিদল আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাত্ করে। ছবি: ফোকাস বাংলাবাংলাদেশের উন্নয়নে অতীতের মতো জার্মান সরকার, জনগণ ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জার্মান সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সাক্ষাত্কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আরও বেশি জার্মান বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে জার্মান সাংসদ ডাগমার জি ভোর্লের নেতৃত্বে দেশটির পাঁচ সদস্যের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাত্ করে।
শেখ হাসিনা সাক্ষাত্কালে বলেন, তাঁর সরকার দেশের নাগরিকদের উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের চলমান যাত্রায় অতীতের মতো জার্মান সরকার, জনগণ ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সহায়তা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমার লক্ষ্য দারিদ্র, ক্ষুধা ও নিরক্ষতামুক্ত বাংলাদেশ। যেখানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের স্থান থাকবে না। সে লক্ষ্য পূরণের জন্য আমার সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’ ২০০৮ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর বিশ্বমন্দা এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করে তাঁর সরকারের এগিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাত্কালে বলেছেন, তার পরও বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ব্যাপক বিস্তারের ফলে দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২৬ শতাংশে নেমে আসার কথাও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।

সাক্ষাত্কালে ডাগমার জি ভোর্ল বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির দীর্ঘদিনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হওয়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, সে লক্ষ্য পূরণে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ পূরণে জার্মানি সহায়তা করবে। সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের উল্লেখ করার মতো সাফল্যের প্রশংসাও করেন জার্মান প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। জার্মান সংসদীয় প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের জনগণের অগ্রগতির প্রশংসাও করে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সরকারের নেওয়া উদ্যোগ বাস্তবায়নে জার্মান সরকারের সহায়তার কথাও স্মরণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে জার্মানির কার্লসরুই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানের কথা স্মরণ করে বলেন, তাঁর সঙ্গে জার্মানের একটি আবেগের সম্পর্ক রয়েছে।

এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান শিকদার, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।