আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন- মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা বা কোনো অজুহাতেই নাশকতার পথ অবলম্বনের সুযোগ নেই
অনলাইন ডেস্ক সম্পাদকীয়.ঢাকা:
৫ জানুয়ারিকেন্দ্রিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত নয় ব্যক্তির প্রাণহানি, গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরনের নাশকতার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিরোধী দলকে সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়ার কাজে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে যথেচ্ছ ব্যবহার করে সরকার যে অপরিণামদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে, তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ কম। কিন্তু বিএনপি অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সহিংসতা ও নাশকতা পরিহারে সচেষ্ট বলেও প্রমাণ পাওয়া যায় না।
সন্দেহ নেই যে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গোটা দেশে একটা অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগজনক পরিবেশ বিরাজ করছে। আর এই অস্বস্তি যে আকস্মিকভাবে উবে যাবে, তাও মনে হয় না। আশঙ্কা করা হচ্ছে, চলতি অবরোধ প্রলম্বিত হতে পারে, আর সেটা না হলেও সহজে অনুমেয় যে আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথের প্রতিবাদসর্বস্ব কর্মসূচি পালনে বিরোধী দল সক্রিয় থাকবে। সুতরাং সরকারের কাছে এ বিষয়ে যেমন বিচক্ষণতা প্রত্যাশিত, তেমনি আমরা বিরোধী দলকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা বা কোনো অজুহাতেই নাশকতার পথ অবলম্বনের সুযোগ নেই। বিরোধী দল তাতের যৌক্তিক দাবি জনগণকে বোঝাতে পারলে এবং আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারলে কোনো কর্মসূচি পালন করতেই গায়ের জোর খাটাতে হয় না। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যে যে বিভাজনরেখাটি আছে, সেটি যেন তারা কোনো অবস্থায়ই মুছে না ফেলে।
আগে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সহিংসতা হয়েছে, সে জন্য এখনো সহিংস পথ অবলম্বন করতে হবে—এটি যুক্তির কথা হতে পারে না। আমরা সব ধরনের নাশকতা ও হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই। রেলের ফিশপ্লেট উপড়িয়ে কিংবা রাজধানীতে গাড়ি পোড়ানোর মতো নাশকতা করে যে গণতন্ত্র বা ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা যায় না, সেটিও নেতা-নেত্রীদের উপলব্ধি করতে হবে।