• শনিবার , ২৩ নভেম্বর ২০২৪

আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই- শেখ হাসিনা


প্রকাশিত: ৫:৩৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল ১৪ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৫ বার

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঘরে ও চেয়ার-টেবিলে বসে কাজ করতেন, সেই একই ঘরে বসে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রোববার গণভবনের পাশে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শেখ হাসিনা। ১৯৭২ সালে এই কার্যালয়টিই তত্কালীন সরকারপ্রধানের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহূত হতো। এখানে বসেই মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। খবর বাসস ও ইউএনবির।
বৈঠকের শুরুতে প্রতিরক্ষাসচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তিনি যে চেয়ার-টেবিলে বসে বৈঠক করছেন, সেটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ব্যবহূত করতেন। বৈঠকের পরে শেখ হাসিনা বাবার কাজের জন্য ব্যবহূত ঘরটি ঘুরে দেখেন। মুক্তিযুদ্ধ শেষে পাকিস্তানের কারাগার থেকে ফেরার পরে ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে বঙ্গবন্ধু এই কার্যালয়ে বসেই তাঁর কাজ শুরু করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এলে প্রতিঘাত করার মতো ক্ষমতা বাংলাদেশের থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। তবে কেউ যদি আমাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত করে, অবশ্যই প্রতিঘাত করার মতো ক্ষমতা থাকতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সেই সামর্থ্য অর্জন করা একান্তভাবে প্রয়োজন, আর আমরা সে ব্যাপারে সচেতন। ইতিমধ্যে আমরা এ ক্ষেত্রে অনেক পদক্ষেপও গ্রহণ করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিরক্ষাসচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান শিকাদার, তিন বাহিনীর প্রধান এবং সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আধুনিক ও যুগোপযোগী সশস্ত্র বাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, তাঁর সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে এমন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অন্যান্য দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা এবং কাজ করতে হবে। কাজেই আমরা এমন একটি সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে চাই যারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে প্রণীত ১৯৭৪ সালের প্রতিরক্ষা নীতির প্রেক্ষাপটে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’-এর আওতায় তিন বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকীকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে দেশ যাতে এর সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে সে লক্ষে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্ষমতায় আসে, কিন্তু প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা আসেন দীর্ঘ সময়ের জন্য।’
শেখ হাসিনা বলেন, একটি দল নির্বাচনী ইশতেহারের মাধ্যমে মানুষকে অঙ্গীকার দিয়ে সরকার গঠন করে, তাই আপনাদের (সরকারি কর্মকর্তা) সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।