আবেগাপ্লুত কান্না-১ম বারের মতো ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা
জেলা প্রতিনিধি .লালমনিরহাট : প্রথমবারের মতো ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আবেগাপ্লুত লালমনিরহাট সদর উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল ভিতরকুটি বাঁশ পচাই এবং আদিতমারী উপজেলার এক নম্বর দুড়াকুটি গ্রামের বাসিন্দারা। এ দুই গ্রামে সদ্যনির্মিত শহীদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁরা।
গত বছর অন্যান্য ছিটমহলের সঙ্গে ভিতরকুটি বাঁশ পচাইও বাংলাদেশের সঙ্গে একীভূত হয়। কিছুদিন আগে ভিতরকুটি বাঁশ পচাইয়ে সালেহা সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। সেই শহীদ মিনারে প্রথমবারের মতো তাঁরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মোহাম্মদ আলী আকবার আজিজী, জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
জেলা পরিষদ প্রশাসক মতিয়ার রহমান বলেন, ভিতরকুটি বাঁশ পচাই গ্রামের মানুষের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান জানিয়ে ৪৫ শতক জমির ওপর প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয় চত্বরে স্থাপিত হয়েছে শহীদ মিনারটি। এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আমরা সবাই আপ্লুত।অন্যদিকে আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের এক নম্বর দুড়াকুটি গ্রামের বাসিন্দারা বাংলাদেশি হয়েও ভাষা দিবস উদ্যাপন করতে পারেননি।
কারণ, ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণে এখানে কোনো শহীদ মিনার ছিল না। তবে সব গোঁড়ামি উড়িয়ে দিয়ে এবারেই প্রথম গ্রামের কদম চান বিদ্যাপীঠ চত্বরে নির্মাণ করা হয় শহীদ মিনার। সেখানে একুশের প্রথম প্রহরে শত শত গ্রামবাসী ভাষা শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
কদম চান বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার সমাজ সংস্কারমূলক কার্যকলাপে ঈর্ষান্বিত হয়ে এলাকার মৌলবাদী গোষ্ঠী আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকিধমকি দিয়ে লিফলেট প্রচার করেছিল। আমি দমে যাইনি। এলাকার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা ও পরামর্শে আমার কাজ অব্যাহত আছে এবং থাকবে।’