আবার জালাও পোড়াও কার স্বার্থে?
ফেনী প্রতিনিধি : আবার জালাও পোড়াও কার স্বার্থে কে করাচ্ছে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। কক্সবাজার থেকে ত্রাণ বিতরণ করে ফেরার পথে ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পেছনে রাস্তার উল্টো পাশের দুটি বাসে পেট্রল বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় এ আলোচনা সরব হয়ে উঠেছে।এতে ওই বাস দুটিতে আগুন ধরে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরটি মহিপাল এলাকা অতিক্রম করার সময় ওই পেট্রল বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। তবে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে থাকা কোনো গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, কেউ হতাহতও হয়নি। নেতাকর্মীরাসহ পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে গাড়িবহর ফেনী পার করে দিয়েছে।আলাউদ্দিন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জাতিরকন্ঠকে জানান, খালেদা জিয়ার গাড়িবহর মহিপাল পেট্রল পাম্প পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার উল্টো পাশে দুটি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। একইসঙ্গে বিকট শব্দও শোনা যায়।
খালেদা জিয়ার বহরের পেছনের গাড়িতে থাকা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ বলেন, চেয়ারপারসনের গাড়িবহর পার হওয়ার কিছুক্ষণ পর উল্টো পাশে দুটি বাসে আগুন জ্বলতে দেখি। এ সময় বহরে থাকা কিছু নেতাকর্মী দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা সিনিয়র নেতারা গাড়ি থেকে নেমে ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক পুরো রাস্তা অবরোধ করে ফেলি। এ সময় আশপাশের বিএনপি নেতাকর্মীরা ছুটে আসেন।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ সদস্য বলেন, আমরা একটু পেছনে ছিলাম। ঘটনার কয়েক মিনিট পরেই আমরা স্পটে ছুটে যাই। বাস দুটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কীভাবে এ আগুন লাগানো হয়েছে- তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, দুটি বাসেই পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করলে সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি দুটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপির বহরে থাকা সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান বলেন, দুর্বৃত্তরা দুটি বাসে আগুন দিলেও চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।