আবারও ষড়যন্ত্র-২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মূলপর্বে সরাসরি খেলার শংকায় বাংলাদেশ
আসমা খন্দকার : আবারও ষড়যন্ত্র-২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মূলপর্বে সরাসরি খেলার শংকায় বাংলাদেশ । আইসিসি’র ফিউচার টুর প্রোগ্রাম বা এফটিপিতে ওয়ানডে কম থাকায় ২০১৯ বিশ্বকাপের মূলপর্বে সরাসরি খেলা নিয়ে শঙ্কা আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। কারণ, আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে র্যাংকিংয়ে সেরা আটে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। কিন্তু, শঙ্কার ব্যাপার হলো। এই সময়ে টাইগারদের তুলনায় তিনগুণেরও বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে র্যাংকিংয়ে নিচে থাকা দুই ফেবারিট পাকিস্তান ও ওয়েষ্ট ইন্ডিজ।
তবে, বাছাই পর্বের ঐ শঙ্কা কাটাতে ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের কথা।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল-আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বায়নের কথা বললেও, বাস্তবে তার মিল নেই বিন্দু মাত্র। এই যেমন টেস্ট খেলুড়ে দল হয়েও বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়েকে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির বাছাই পর্ব খেলতে হয়েছে। ঠিক তেমনি পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে র্যাংকিংয়ে সেরা ৮ দল খেলবে ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের মূল পর্বে।
বাংলাদেশের বর্তমান র্যাংকিংয়ে দিকে থাকলে মনে হবে নিরাপদ স্থানেই আছে। তবে, বাস্তবতা হলো আইসিসি’ ফিউচার টুর প্রোগ্রাম অনুযায়ী আগাম বিপদ সংকেত মাশরাফির দলের জন্য।
কারণ, এই সময়ে বাংলাদেশের র্যাংকিংয়ে নিচে থাকা পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিনগুণের চেয়েও বেশি ওয়ানডে খেলবে।
এই যেমন ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের আগে এফটিপি অনুযায়ী অন্তত ১৯টি ওয়ানডে খেলবে ক্যারিবীয়রা। যেখানে র্যাংকিংয়ে ওপরের দিকে থাকা ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া,দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ওপরের দিকে র্যাংকিংয়ে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে বিপক্ষে একাধিক ওয়ানডে খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঐ দলগুলোর বিপক্ষে সিরিজ জিতলে, তরতর করে বাড়বে ক্যারিবিয়দের রেটিং পয়েন্ট।
পাকিস্তান নির্দিষ্ট এই সময়ে অন্তত ২১টি ওয়ানডে খেলবে। তারাও খেলবে বড় সব দলগুলোর বিপক্ষে। তাই তাদের সামনেও থাকছে দারুণ সুযোগ র্যাংকিংয়ে ওপরের দিকে ওঠার।
এই দুই দলের পর বাংলাদেশের দিকে তাকালে, বাচাই পর্বের বাঁধার ভয় তাড়িয়ে বেড়াবে টাইগার সমর্থকদের। ২০১৭ সেপ্টেম্বর বাকি এখনও ১৭ মাস। আর এই সময়ে এফটিপি অনুযায়ী মাত্র ৬টি ওয়ানডে খেলবে টাইগাররা যা ঐ দু’দলের হিসেবে অনেক কম ওয়ানডে। তাই পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দারুণ সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশকে ডিঙ্গিয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার। তবে, এফটিপিতে কম ম্যাচ থাকলেও, চিন্তিত নয় ক্রিকেট বোর্ড।
এছাড়াও, আগামী বছরের মে’তে যদি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ হয় তাহলে আরো অন্তত ৪টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ থাকছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য।