• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

আবারও বাঘের গর্জনে কাঁপলো ক্রিকেট বিশ্ব-বধ হলো দক্ষিণ আফ্রিকা


প্রকাশিত: ১২:৫৩ এএম, ১৬ জুলাই ১৫ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯৪ বার

bangladesh-believed-www.jatirkhantha.com.bdবিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: আবারও বাঘের গর্জনে কাঁপলো ক্রিকেট বিশ্ব।এবার বাঘের ডেরায় বধ হলো ক্রিকেটের আরেক পরাশক্তি দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওয়ানডেতে তামিম সৌম্যের বাংলাদেশের পক্ষে ৩য় সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি’র দিনে বৃষ্টি আইনে প্রোটিয়াদের রেকর্ড ৯ উইকেটে হারিয়ে ২-১ এ সিরিজ জিতেছে টিম বাংলাদেশ।

এটি ঘরের মাটিতে টানা চতুর্থ ওয়ানডে সিরিজ জয় টাইগারদের। আগে ব্যাট করে অতিথিরা নির্ধারিত ৪০ ওভারে ৯ উইকেটে করে ১৬৮ রান। জবাবে ৮৩ বল বাকি থাকতে ১ উইকেট হারিয়ে জয় পায় স্বাগতিকরা। সিরিজ সেরা হয়েছেন সৌম্য সরকার।
mostafiju -www.jatirkhantha.com.bd
আবারও অনিন্দ্যসুন্দর জয়ে উৎসবে মাতলো মাশরাফিরা। বাঘের ডেরায় এবার কুপোকাত হলো ক্রিকেটের আরেক পরাশক্তি দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘরের মাটিতে টানা চতুর্থ সিরিজ জিতে ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন করে নাম লেখালো টিম বাংলাদেশ। যে জয়ে আছে অহংবোধ। পরিণত হবার বার্তা। জানান দেয়া অঘটন, আচমকা বা হঠাৎ করে জয় পায় না বাংলাদেশ। এখন জয়টা ধারাবাহিক। কিংবা বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন পরাশক্তির উত্থানের জানান দেয়া। সব অর্জন এখন লুটোপুটি খাচ্ছে টাইগারদের ব্যাটে বলে।

এর আগের গল্পে টসটা ছাড়া সবকিছুই ছিলো বাংলাদেশের পক্ষে। শুরুতেই মুস্তাফিজের কার্টারে কাটা পড়েন প্রোটিয়া ওপেনার ডি কক। তারপর দৃশ্যপটে সাকিব। ঘূর্ণিতে দিশেহারা দক্ষিণ আফ্রিকার ডু প্লেসি ও অধিনায়ক আমলা। দু’জনকে ফিরিয়ে নিজের নামের পাশে লিখলেন আরো একটি রেকর্ড। বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার দেশের হয়ে রঙিন পোশাকে নেন ২০০তম উইকেট।

পরের কাজটা করেন রিয়াদ। রুশোকে ফেরালেও এবার খেলার মাঝে আসে বৃষ্টি। আড়াই ঘণ্টা বন্ধা থাকা খেলা নির্ধারিত হয় ৪০ ওভারে। আর বৃষ্টি থেমে গেলেও থামেনি টাইগার বোলারদের আগুনঝড়া বিধ্বংসী বোলিং। মিলারকে ৪৪ রানে তুলে নিয়ে ওয়ানডেতে ২০০তম উইকেট নেন মাশরাফিও।

শেষ দিকে সাকিব, মুস্তাফিজ ও রুবেলের নৈপুণ্যে ৪০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৮ রান করে প্রোটিয়ারা। যেখানে সর্বোচ্চ ৫১ রান ডুমিনি’র।

এবার ইতিহাস রচনা করতে হবে টেস্ট খেলুড়ে দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এমন পণ ছিলো টাইগারদের। তাই লাকি ভেন্যু চট্টগ্রামে বৃষ্টি আইনে ১৭০ রানের টার্গেটটাকে মামুলি বানাতে থাকেন দুই ওপেনার সৌম্য ও তামিম।

উইকেটের চারপাশে ৩৬০ ডিগ্রী স্টাইলে ব্যাট করে চার ছয়ের ফুলঝুরিতে সৌম্য ব্যস্ত করে তোলেন প্রোটিয়া বোলারদের। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ও টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়ে সৌম্য ফেরেন ৯০ রান করে। তামিমের সঙ্গে করেন বাংলাদেশের পক্ষে ৩য় সর্বোচ্চ ১৭৮ রানের ওপেনিং জুটি।

পরে তামিম ক্যারিয়ারের ৩১ তম ফিফটি তুলে ৬১ রানে অপরাজিত থেকে ইতিহাস রচনা করেন। আর ১৯তম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় টিম বাংলাদেশ। যাতে টাইগারদের বাড়ছে আইসিসি র‌্যাটিং পয়েন্টও।