আফগানিস্তানে অস্ত্রের মুখে ব্র্যাকের ২ কর্মকর্তা অপহরণ
বিশেষ প্রতিনিধি : আফগানিস্তানে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের দুই কর্মকর্তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করেছে একদল বন্দুকধারী।আফগানিস্তানে ব্র্যাকের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মো. আনোয়ার হোসেন টেলিফোনে জাতিরকন্ঠকে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে কুন্দুজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত দুই বাংলাদেশি হলেন- প্রধান প্রকৌশলী শওকত ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম।
দুজনেরই বাড়ি পাবনা জেলায়। কুন্দুজ থেকে বাগলান যাওয়ার পথে অস্ত্রের মুখে গাড়ি থেকে নামিয়ে একদল বন্দুকধারী তাদের নিয়ে যায় বলে আনোয়ার হোসেন জানান।আমরা ইতোমধ্যে স্থানীয় পুলিশ ও ইন্টেরিওর মিনিস্ট্রিকে জানিয়েছি। তারা কিছু স্টেপস নিয়েছে। ওই গাড়ির ড্রাইভার এবং আরও একজন আফগান ছিল- তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তবে এর সঙ্গে তালেবান জঙ্গিরা জড়িত কি না- সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকায় ব্র্যাকের কমিউনিকেশনস লিড রনি মির্জা বলেন, “কুন্দুজে ফিল্ড ভিজিট শেষে ফেরার পথে শওকত ও সিরাজুল অপহৃত হন বলে আমরা খবর পেয়েছি। কাবুল থেকে ব্র্যাকের একটি প্রতিনিধি দল কুন্দুজে যাচ্ছে। তারা বিষয়টি তদারক করবেন।বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে ব্র্যাক কর্মকর্তারা জানান। যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে পুনর্গঠনের কাজে থাকা ব্র্যাক কর্মীরা এর আগেও বেশ কয়েকবার আক্রন্ত হয়েছেন ।২০১২ সালের মে মাসে ঘোর প্রদেশে ব্র্যাকের একটি কার্যালয়ে ঢুকে এক কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা।
তার আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ব্র্যাকের এক প্রকৌশলীকে হত্যা করে অপহরণ করা হয় ছয়জনকে।২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীদের গুলিতে প্রাণ যায় আরেক ব্র্যাক কর্মকর্তার।ওই বছর নূরুল ইসলাম নামে এক ব্র্যাক কর্মকর্তা অপহৃত হওয়ার ৮৩ দিন পর মুক্তি পান। ২০০৮ সালের অক্টোবরে গজনি প্রদেশ থেকে অপহৃত হন দুইজন। দশদিন পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক আফগানিস্তানে কাজ শুরু করে ২০০২ সালে। দেশটির ৩৪টি প্রদেশে ব্র্যাকের প্রায় ৪০০ অফিসে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের কাজে রয়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা।