• মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

আপত্তিকর ভিডিও প্রদর্শন-মহিলা কলেজের ক্লাসরুমে


প্রকাশিত: ১:৪৫ এএম, ৮ জানুয়ারী ১৭ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৪ বার

 

নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে একটি শ্রেণী কক্ষে মেয়ে শিক্ষার্থীদের fatullha-narayanganj-www-jatirkhantha-com-bdসামনে অশ্লীল ভিডিও প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ৪০ মিনিটি ধরে বড় পর্দায় চলা ওই ভিডিও দেখে রীতিমত লজ্জায় মুখ ঢাকেন শিক্ষার্থীরা।

ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসরুমে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এঘটনা ঘটলেও বিষয়টি রাতে জানাজানি হয়।

এ ঘটনায় আগামী শনিবার একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, আইসিটি বিভাগের সহকারী হাবিবুর রহমান রাজু ক্লাশ শুরুর আগে ক্লাসরুমের বড় পর্দায় প্রজেক্টর চালু করেন।

এ সময় প্রজেক্টরে ভেসে ওঠে অশ্লীলতা ও আপত্তিকর দৃশ্যে ভরা হিন্দি একটি ছবি। এসব দেখে অনেক শিক্ষার্থী শ্রেণীকক্ষে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বসে থাকেন।

ওই ক্লাসরুমে থাকা একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, ৩টা থেকে ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ছবিটি প্রদর্শন হয়। এ সময় অনেক শিক্ষার্থীই লজ্জায় মাথা নিচু করে রাখেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্লাসে থাকা এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের আইসিটি ক্লাস শুরু হওয়ার আগে হাবিবুর রহমান রাজু (অফিস সহকারী) এসে প্রজেক্টর স্থাপন করার পর এরকম একটি ছবি ছেড়ে চলে যায়।

আমাদের শিক্ষক আবুল বাশার (প্রভাষক, দর্শন বিভাগ) এসে ছবি বন্ধ করে দিয়ে ক্লাস শুরু করেন। ওই ছাত্রী বলেন, আমরা অনেকেই লজ্জায় কিছু বলতে পারছিলাম না।

এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাব চৌধুরী বলেন, এটি আসলেই খুব গুরুতর অভিযোগ। কিন্তু আমাকে কোনো ছাত্রী এ রকম কোনো অভিযোগ করেনি।

যদি ভুলক্রমে বা অসাবধানতাবসত এ রকম কোন ভিডিও চলে তাও অপরাধের শামিল। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছি এবং আগামী শনিবারের মধ্যে তদন্ত কমিটি করে দেব এবং সেই কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বাংলাদেশ ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বেলটার) নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি কবির চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল শিক্ষা প্রযুক্তিতে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্রীক আইসিটি শিক্ষা বিভাগ একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

কিন্তু একটি ক্লাসে যে কারণেই হোক ভিডিওতে অশ্লীলতা প্রদর্শন একটি ন্যাক্কারজনক কাজ। যদি সেটা দীর্ঘক্ষণ হয়ে থাকে তবে এর পিছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।

তবে রাতে বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় অফিস সহকারী হাবিবুর রহমান রাজু ও শিক্ষক আবুল বাশারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।