আন্দোলন বানচালে ‘স্যাবোটাজের’ চেষ্টায় সরকার: ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা:
বিরোধী দলের আন্দোলন বানচালে সরকার অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।সোমবার দিনব্যাপী হরতালের পর সন্ধ্যায় নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে নতুন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেননি ২০ দলের এই নেতা।কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, সময়মতো কর্মসূচির কথা জানানো হবে।তিনি জানান, সোমবারের হরতালে সারাদেশে তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত দুই দিনে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৪৪২ জন। হরতালে পুলিশি হামলায় ১১০ জন আহত হয়েছেন।
হরতালের আগের দিন ঢাকায় গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো এবং হরতালের মধ্যে নোয়াখালীতে ঢিল ছুড়ে এক স্কুলশিক্ষককে হত্যার জন্য সরকারকে দায়ী করেন ফখরুল।সরকার তার এজেন্টদের দিয়ে বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিগুলোকে স্যাবোটাজের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ চালিয়ে সহিংস ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত করে হরতালকারীদের ওপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা করছে। এর উদ্দেশ্য আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা।নোয়াখালীতে স্কুলশিক্ষক শামসুন্নাহারকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন বিএনপির মুখপাত্র।
সরকারি এজেন্ট কর্তৃক স্কুলশিক্ষিকাকে হত্যা করা হয়েছে। হরতালের প্রাক্কালে গতকাল থেকে পুরনো কৌশলের পুনরাবৃত্তি করে আবারও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ আর পেট্রোল বোমা ছুড়ে জীবনহানির ন্যায় মানবতাবিরোধী সহিংস কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেও একই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল দাবি করে ফখরুল বলেন, বিরোধী দলের হরতালের বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়ার জন্য সরকারের অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের জুড়ি মেলা ভার।
গাজীপুরে খালেদা জিয়ার জনসভা করতে না দেওয়া, গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবিতে এই হরতাল ডেকেছিল ২০ দল। ৫ জানুয়ারির ভোট বর্জনের পর এটা ছিল তাদের দ্বিতীয় হরতাল।সরকারের নানা দমনপীড়ন সত্ত্বেও সারাদেশে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করেছে বলে দাবি করেন ফখরুল।ঢাকার কমলাপুরে কভার্ডভ্যানের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষের জন্য সরকারের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে তিনি বলেন, সর্বত্রই চলছে একই ধরনের অব্যবস্থাপনার চিত্র।
ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজের কার্যালয়ের সামনে রোববার রাতের পুলিশি অভিযানের নিন্দাও জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।পুলিশি হানার উদ্দেশ্যই হচ্ছে- পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবিরকে ভয় দেখানো। কারণ সরকার ও শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের হুমকির মুখেও নুরুল কবিরকে তার শানিত উচ্চারণ থেকে বিরত রাখা যায়নি। সেজন্য তার ওপর যত ক্রোধ এই সরকারের।
বিএনপিসহ ২০ দলের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশি তল্লাশির প্রতিবাদও জানান ফখরুল।সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা বেলাল আহমেদ প্রমুখ।